পড়শি যুবককে খুনের দায়ে এক বধূ-সহ ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। বৃহস্পতিবার রামপুরহাট ফাস্ট ট্র্যাক দ্বিতীয় আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক কুমকুম সিংহ এই রায় দেয়। সাজাপ্রাপ্তরা হলদুই ভাইবোন লক্ষ্মণ রাজবংশী ও উত্তরা রাজবংশী, তিন ভাই টনিক রাজবংশী, লোহারী রাজবংশী, অরুণ রাজবংশী এবং আনন্দ রাজবংশী, ভটু রাজবংশী। সকলেই মুরারই থানার পঞ্চহড় গ্রামের বাসিন্দা। তিন বছর আগে দুর্গাপুজোর প্রতিমা বিসর্জনের সময়ে আনন্দ সাহাকে খুনের ঘটনা ঘটেছিল।
সরকারি আইনজীবী দেবপ্রসাদ ভট্টাচার্য জানান, ২০০৮ সালে ৯ অক্টোবর রাত ১০টা নাগাদ পঞ্চহড় গ্রামের পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা দিলীপ সাহার বাড়ির সামনে সাজাপ্রাপ্তরা গালিগালাজ করে বাড়ির গেটে লাথি মারতে থাকে। দিলীপবাবুর ছেলে আনন্দ প্রতিবাদ করে বাড়ি থেকে বেরতেই সাজাপ্রাপ্তরা তাঁকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। আনন্দবাবু মাটিতে পড়ে যাওয়ার পরে তারা তাঁকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে। দিলীপবাবু ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে বাম হাতের আঙুলে চোট পান। এমনকী তাঁর স্ত্রীকেও মারধর করা হয়। পড়শিরা ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় আনন্দবাবুকে মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। পরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এর পরে দিলীপবাবু মুরারই থানায় ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
এ দিনের রায় শুনে খুশি আনন্দবাবুর পরিবারের লোকজন। স্ত্রী অর্চনাদেবী বলেন, “স্বামীর খুনীরা কঠোর শাস্তি পাক, এত দিন এই প্রার্থনা করে এসেছি। তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়ায় আমি খুশি।” উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সাজাপ্রাপ্তদের পরিবারের লোকজন। |