ঘুমন্ত কিশোরীর মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ে মারার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে নানুর থানার কীর্ণাহার ঈশ্বানেশ্বরী তলা পাড়ায় ওই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পড়শি ওই কিশোরীর প্রতি অনুরক্ত ছিল গ্রামেরই বছর আঠারোর তরুণ দেবাশিস হাজরা। সে ওই কিশোরীকে বার কয়েক প্রেম নিবেদনও করেছিল। কিন্তু কিশোরী তাতে সাড়া না দেওয়ায় রাস্তাঘাটে দেখা হলেই তাকে নানা ভাবে দেবাশিস উত্যক্ত করত বলে অভিযোগ। ঘটনাচক্রে, বুধবার ওই কিশোরীকে পাত্রপক্ষের দেখতে আসার কথা ছিল। অভিযোগ, সেই আক্রোশেই ওই যুবক এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনার দিন রাতে কিশোরী, তার মা ও দিদির সঙ্গে বাড়ির বারান্দায় শুয়ে ছিল। কিশোরীর দিদির দাবি, “রাত ২টো নাগাদ দেবাশিস প্রথমে পাঁচিল টপকে বাড়ির ভিতরে ঢোকে। তারপর বারান্দার ঝাপ তুলে বোনের মুখে অ্যসিড ঢেলে দেয়। বোনের চিৎকারে দেবাশিস পালিয়ে যায়।”
কিশোরীকে ওই রাতেই প্রথমে কীর্ণাহার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পরে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বৃহস্পতিবার সে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে। ওই কিশোরীর অভিযোগ, “বছর দেড়েক ধরে দেবাশিস আমাকে উত্যক্ত করছিল। কী করে অন্য কোথাও আমার বিয়ে হয়, তা দেখে নেওয়ার হুমকিও দেয় দেবাশিস।” কিশোরীর মার দাবি, “দেবাশিস পথেঘাটে উত্যক্ত করছিল বলে মেয়েকে বাড়ির বাইরে খুব একটা বেরোতে দিতাম না। কিন্তু ও যে রাতের অন্ধকারে বাড়ির ভিতরে ঢুকে এমন সর্বনাশ করবে ভাবতেও পারিনি।”
অভিযুক্তের বাবা ভুবন হাজরা বলেন, “বছর খানেক আগে ঘটনার কথা জানতে পেরে ছেলেকে কলকাতায় কাজ করতে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে ছেলে থাকতে না পেরে মায় ছয়েক আগে বাড়ি ফিরে আসে।” তাঁর আক্ষেপ, “ও যে এমন ঘটনা ঘটাবে বুঝতে পারিনি। অপরাধ করে থাকলে ওর যা শাস্তি হওয়ার সে তো হবেই।” এ দিকে জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “প্রতিবেশী কিশোরীকে অ্যাসিড দেওয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” |