তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় পোড়ানোর অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে নানুরের বড়া গ্রামে। সিপিএম নেতৃত্ব অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়া গ্রামটি বড়া-সাওতা পঞ্চায়েতের অধীন। এক সময় ওই এলাকায় তৃণমূলের কোনও অস্তিত্ব ছিল না বললেই চলে। এলাকা তথা রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে সিপিএম ও আরএসপির সংঘাত লেগেই ছিল। ২০০৮ সালে নির্বাচনেও শিরিকদের সঙ্গে সিপিএমের ঐক্য হয়নি। বিরোধীদের সঙ্গে জোট করে সিপিএমের সঙ্গে মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল শরিকেরা। পঞ্চায়েতের ১৬টি আসনের মধ্যে সিপিএম ১১, আরএসপি ৩ এবং ফরওয়ার্ড ব্লক ২টি আসন পায়। অবশ্য সিপিএমের প্রধান ও আরএসপিকে উপপ্রধানের পদ দিয়ে বোর্ড গড়েছিল ফ্রন্ট। কিন্তু সেই শরিকি সম্প্রীতি বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। ‘সিপিএমের আক্রমণের’ মুখে দলীয় নেতৃত্বের নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে ২০১০ সালে মার্চ মাসে আরএসপির দুই প্রভাবশালী নেতা, তিন পঞ্চায়েত সদস্য-সহ প্রায় সহশ্রাধিক আরএসপি কর্মী-সমর্থক তৃণমূলে যোগ দেন। একই ভাবে ফরওয়ার্ড ব্লকের দুই সদস্য-সহ সিপিএমের ৫ সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। এর ফলে পরোক্ষ ভাবে পঞ্চায়েতের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় তৃণমূলের হাতে। বড়া গ্রামে গড়ে ওঠে তৃণমূলের শাখা কমিটির কার্যালয়। বৃহস্পতিবার রাত ১টা নাগাদ খড়ের ছাউনির মাটির ওই কার্যালয়ে আগুন লাগে। |
তৃণমূলের ব্লক কার্যকরি সভাপতি অশোক ঘোষের দাবি, “বুধবার ওই গ্রামে আমাদের দলীয় সম্মেলন ছিল। সিপিএমের বহু কর্মী-সমর্থক তাতে যোগ দিয়েছিল। সেই আক্রোশে সিপিএমের দুষ্কৃতীরা আমাদের দলীয় কার্যালয় পুড়িয়ে দিয়েছে।” অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সমীর ভট্টাচার্য বলেন, “তৃণমূলের সন্ত্রাসে ওই এলাকায় আমাদের কর্মী-সমর্থকেরা দীর্ঘদিন ঘরছাড়া। তাই আগুন লাগানোর অভিযোগ ভিত্তিহীন।” তাঁর অভিযোগ, “আসলে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরে ওই ঘটনা ঘটেছে।” জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা জানান, সুনির্দিষ্ট ভাবে কারও নামে অভিযোগ পাননি। তবে আগুন লাগার ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। |