গেট ভেঙে ফরাক্কা ব্যারাজ থেকে হাজার হাজার গ্যালন জল বেরিয়ে যাচ্ছিল। ফরাক্কা ব্যারাজ-কর্তৃপক্ষ বুধবার রাজ্য সরকারকে চিঠি লিখে জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ওই বাঁধের ১৬ নম্বর গেটটি সারানো হয়েছে। ১৩ নম্বর গেটটিও মার্চের মধ্যে সারানো হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেই কাল, শুক্রবার কেন্দ্রীয় জলসম্পদমন্ত্রী পবন বনশল ব্যারাজ পরিদর্শনে আসছেন।
ফরাক্কা ব্যারাজের বিভ্রাটে প্রচুর জল বেরিয়ে যেতে থাকায় রাজ্য সরকার উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিল। ভাঙা গেট সারাতে গড়িমসিরও অভিযোগ ওঠে। কেন্দ্র-রাজ্য চাপান-উতোর শুরু হয়ে যায়। এর মধ্যে চক্রান্ত আছে বলে অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে এ ব্যাপারে চিঠি লেখেন। দিল্লি গিয়ে তাঁর সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনাও করেন। কারণ হুহু করে জল বেরিয়ে বাংলাদেশে চলে যাওয়ায় সব চেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গেরই। জলের সরবরাহ কমে আসায় বিপাকে পড়ে এনটিপিসি-র ফরাক্কা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রও।
এই পরিপ্রেক্ষিতেই বাঁধের ভাঙা গেট সারানোর কথা জানিয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছেন ফরাক্কা ব্যারাজের কর্তৃপক্ষ। রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া এ দিন মহাকরণে জানান, আগামী ২ মার্চ তিনি এবং রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্ত ফরাক্কায় গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। মানসবাবু এর আগেও দিল্লি গিয়ে বনশলের সঙ্গে কথা বলেছেন।
সেচ ছাড়াও রাজ্যের ক্ষুদ্রশিল্প দফতর আছে মানসবাবুর অধীনে। তিনি জানান, রাজ্যের পিছিয়ে থাকা জেলাগুলির উন্নয়নের স্বার্থে কেন্দ্র বিশেষ তহবিল থেকে ২৫৭ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। ওই টাকা সিল্ক, তসর, বাবুই ঘাস, বাঁশ-বেত প্রভৃতি প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে বিভিন্ন পণ্য তৈরি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বাসিন্দাদের প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি সরবরাহ, বিপণন পরিকাঠামোর কাজে খরচ করা হবে। |