ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের অনুমতি ছাড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। বন্ধ করতে হবে স্থানীয় স্তরে ‘মাতব্বরি’ আর ‘অন্তর্দলীয় কোন্দল’। বুধবার কামারহাটির দেওয়ানপাড়া মাঠে কর্মী সম্মেলনে এই বার্তা দিলেন পরিবহণ মন্ত্রী এবং কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। একই সুর কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সৌগত রায় এবং বিধায়ক তাপস রায়ের গলাতেও।
পাশাপাশিই ‘সিপিএমের হাতে মার-খাওয়া’ কর্মীদের সামনের সারিতে নিয়ে আসার কথাও বলেন মদনবাবু। তাঁর কথায়, “যে সব কর্মী দলে ভাল কাজ করছেন, তাঁদের উপর দলের চোখ রয়েছে। আর যে কর্মীরা সিপিএমের ভয়ে ঘরে বসে থাকছেন, তাঁরা পদ ছেড়ে দিন।” দলীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবারের বন্ধে কামারহাটির ২৩০ রুটের বাস রাস্তায় নামেনি। সেই কথা মাথায় রেখেই ২৩০ বাসস্ট্যান্ডের পাশের মাঠের সভায় মন্ত্রীর এ দিনের উক্তি। কিন্তু স্থানীয় নেতা-কর্মীদের ‘মাতব্বরি এবং কোন্দল’ যে নেতাদের ভাবাচ্ছে, সে কথাও প্রকারান্তরে স্বীকার করেছেন স্থানীয় নেতৃত্ব। বেলঘরিয়া অঞ্চলে বাড়িওয়ালা-ভাড়াটের ঝগড়াতেও ইদানীং তৃণমূলের কর্মীরা জড়িয়ে পড়ছেন বলে নেতারা জানিয়েছেন। এ দিন মঞ্চ থেকে নেতৃত্বের বার্তা, “এ সব বন্ধ করতে হবে।” সম্প্রতি বিভিন্ন বিতর্কের প্রসঙ্গ টেনে মদনবাবু বলেন, “তাই উপরতলার অনুমতি না-নিয়ে এগোনো যাবে না। যখন তখন থানায় ফোন করে কর্তৃত্ব ফলানো যাবে না।” |