শীর্ষে অরূপ, আবাসন পর্ষদে নয়া চার সদস্য |
রাজ্য আবাসন পর্ষদের নতুন চেয়ারম্যান হলেন আবাসন ও যুবকল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বুধবার মহাকরণে তিনি নিজেই এ কথা জানান। একই সঙ্গে পর্ষদে নতুন চার সদস্যকে মনোনীত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন ডিজি (ভবন) অশোক রায়চৌধুরী, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার জহরলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, স্থপতি সোমনাথ সান্যাল এবং একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের প্রাক্তন পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়।অরূপবাবু জানান, যুবকল্যাণ দফতরের ক্ষতি সামাল দিতে চেন্নাইয়ে যুব আবাস বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। চেন্নাইয়ে যুব আবাস চালানোর জন্য তিনটি ভবন ভাড়া নেওয়া ছিল। অরূপবাবুর কথায়, “অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে সেই ভবনগুলি বসবাসের অবস্থায় নেই। শুধু গত চার বছরেই ক্ষতি হয়েছে এক কোটি ২৫ লক্ষ ২৯ হাজার ১৩৬ টাকা। সেই কারণেই ওই যুব আবাস বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে।” মন্ত্রীর অভিযোগ, নতুন যুব আবাস গড়ে তোলার জন্য জমির দাম বাবদ তদানীন্তন বাম সরকার ১৯৯৭-’৯৮ সালে তামিলনাড়ু সরকারকে এক কোটি ৮১ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা দিয়েছিল। সেই যুব আবাস গড়া হয়নি। জমি বাবদ দেওয়া টাকা তামিলনাড়ু সরকারের কাছেই পড়ে আছে। মন্ত্রী বলেন, “এত দিন ধরে ওই টাকা পড়ে রয়েছে। অথচ বাম সরকারের কোনও হেলদোলই ছিল না।” নতুন সরকার ওই টাকা উদ্ধারে উদ্যোগী হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
|
আগুন লাগায় পরিষেবা ব্যাহত এলআইসি-তে |
তথ্যপ্রযুক্তি দফতরে ফেব্রুয়ারির গোড়ায় আগুন লাগার পর থেকে বৈদ্যুতিন ব্যবস্থা ঠিক মতো কাজ না করায় কলকাতা ও হাওড়ার একটি অংশে জীবনবিমা নিগমের গ্রাহকেরা নানা ভাবে হয়রান হচ্ছেন। প্রিমিয়াম জমা দিতে অসুবিধা হচ্ছে। আবেদন করার এক মাস পরেও টাকা পাননি অনেক গ্রাহক। লাইনে দাঁড়িয়েও ইউলিপের টাকা তোলার আবেদনপত্র জমা দিতে না পারার দরুন আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনাও দেখা গিয়েছে অনেকের। জীবনবিমা নিগমের পূর্বাঞ্চলের জোনাল ম্যানেজার এস কে রায় বলেন, “আগুন লাগায় ইলেকট্রনিক ফ্রন্ট এন্ড অ্যাপ্লিকেশন ব্যবস্থার অনেক ক্ষতি হয়েছে। তার পর থেকেই কেএমডি-১ ডিভিশনের আওতায় ২৩টি শাখায় সমস্যার সৃষ্টি হয়। আগামী এক সপ্তাহে সমস্যা মেটানো যাবে বলে আশা করছি।” তবে এজেন্টদের অভিযোগ, প্রায় এক মাস ধরেই কর্তৃপক্ষ ওই একই কথা বলে আসছেন। কিন্তু অবস্থার উন্নতি হয়নি। লাইফ ইনসিওরেন্স এজেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার সেক্রেটারি জেনারেল শ্যামল চক্রবর্তী বলেন, “আমরা যে ব্যবসা (প্রিমিয়াম) সংগ্রহ করি তার ভিত্তিতেই বছর শেষে এজেন্টদের প্রমোশন হয়। গত প্রায় এক মাস ধরে আমরা যে ব্যবসা এনেছি, তার রেকর্ড সঠিক ভাবে নথিভুক্ত হচ্ছে না। ফলে নতুন আর্থিক বছরে বহু এজেন্টের প্রমোশন আটকে যেতে পারে। কমিশনও হাতে আসছে সঠিক সময়ের অনেক পরে।” |