ফের তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধল ইন্দাসের খরশী গ্রামে। মঙ্গলবার দুপুরে সংঘর্ষে ১০ জন কর্মী-সমর্থক জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৫ জনকে বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছে। গণ্ডগোলের খবর পেয়ে ইন্দাস থানার ওসি তাপস দত্ত পুলিশ নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। তিনি জখমদের ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেন। ওই গ্রামেই সোমবার রাতে দলীয় সমর্থকদের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিধায়ক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বিধায়ক গুরুপদ মেটের গোষ্ঠীর নেতা তথা ব্লক কমিটির সাধারণ সম্পাদক গৌতম বেরা-সহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
খরশী গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূল সমর্থক শেখ কাশেদ, শেখ ফুল মহম্মদ, শেখ মঞ্জু, মদন মিত্রদের অভিযোগ, “আমরা রবিউল হোসেনের সমর্থক। সেই আক্রোশে সোমবার রাতে গৌতম বেরা দলবল নিয়ে আমাদের বাড়িতে চড়াও হয়। বাড়ি ভাঙচুর করে।” রবিউল হোসেনের অভিযোগ, “গৌতম বেরা এখন সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের সঙ্গে নিয়ে মিটিং, মিছিল করছে। দলের পুরনো কর্মী-সমর্থকদের মারধরে নেতৃত্ব দিচ্ছে।” গৌতমবাবু অবশ্য দাবি করেন, “ওই গ্রামে কী হয়েছে জানি না। দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পরে রবিউল হোসেন নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য নানা ভাবে গণ্ডগোল পাকিয়ে আমাকে ও বিধায়ককে বদনাম করার চেষ্টা করছেন।” মঙ্গলবারের ঘটনা প্রসঙ্গে গুরুপদ মেটের অভিযোগ, “ওই দিন দুপুরে দলের বহিষ্কৃত ব্লক সভাপতি রবিউল হোসেন ও তার গোষ্ঠীর লোকেরা খরশী গ্রামে আমাদের দলের ব্লক সদস্য বিশ্বনাথ সরকারের বাড়িতে হামলা করে। পরিকল্পনা করে লাঠি, টাঙ্গি, বোমা নিয়ে ওই হামলা চালানো হয়। কালিদাস রায়-সহ ৫ জন আহত হয়েছে।” রবিউল হোসেনের পাল্টা দাবি, “বিধায়কের লোকেরাই আমাদের দলের কর্মী সমর্থকদের উপরে আক্রমণ করেছে। খোসবাগের বাসিন্দা শেখ জাফরুল্লা-সহ ৫ জনকে বেধড়ক পেটানো হয়েছে। চারজনকে বর্ধমানে ভর্তি করতে হয়েছে।” ওই দিন দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে। কেউ গ্রেফতার করেনি। তবে রবিবার বিকেলে বিধায়কের বন্ধ বিরোধী মিছিলে হামলা এবং কলাগ্রামে রবিউল হোসেন গোষ্ঠীর লোকজনকে মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই তৃণমূল সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। |