লরির ধাক্কায় এক শিশুর মৃত্যুতে অবরোধ করেছিল জনতা। সেই অবরোধকে ঘিরে বুধবার রাজনৈতিক সংঘর্ষ বেধে গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের নলমুড়িতে। জনতার ছোড়া ইটে পুলিশের দু’টি জিপের কাচ ভাঙে। ভাঙচুরে মদত দেওয়ার অভিযোগে সিপিএমের ভাঙড় জোনাল কমিটির সম্পাদক সাত্তার মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়। এ দিনই তিনি বারুইপুর আদালত থেকে জামিন পেয়ে যান।
মৃত শিশুর নাম সজল সর্দার (৫)। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ার কামারগাঁথিতে। এ দিন সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার কাঁকড়াদহে মামারবাড়ি থেকে সজল বাবা-মায়ের সঙ্গে বাসন্তী হাইওয়ে ধরে বাড়ি ফিরছিল মোটরবাইকে। নলমুড়িতে একটি ইট বোঝাই লরি মোটরবাইকটিকে ধাক্কা মারলে তিন জনই ছিটকে পড়েন। লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সজলের। সজলের বাবা চিরকুমারবাবু ও তাঁর স্ত্রীর প্রাথমিক চিকিৎসা হয় নলমুড়ি হাসপাতালে। দুর্ঘটনার পরে সজলের দেহ আটকে ওই রাস্তায় ‘হাম্প’ তৈরি ও ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েনের দাবি তুলে অবরোধ শুরু করে জনতা।
অবরোধ তুলতে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। কিছু ক্ষণের মধ্যে দলবল নিয়ে পৌঁছন সিপিএম নেতা সাত্তার মোল্লা। দলীয় কর্মী-সমর্থক নিয়ে আসেন ভাঙড়ের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক আরাবুল ইসলাম। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অবরোধে মদতের অভিযোগ তুললে বচসা থেকে সংঘর্ষ বাধে। দু’পক্ষ পরস্পরের উপরে ইট নিয়েও চড়াও হয়। কয়েক জন জখম হন। পুলিশ লাঠি চালিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেহ উদ্ধার করে। সাত্তারের অভিযোগ, “মাধ্যমিক পরীক্ষা চলায় জনতাকে বুঝিয়ে অবরোধ তুলতে যাই। তৃণমূল অবরোধে মদত দিচ্ছিল। ওরা আমাদের মারধর ও গালিগালাজ করে। অথচ, মিথ্যা মামলায় পুলিশ আমাকেই গ্রেফতার করল।” অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে আরাবুলের দাবি, “অবরোধে মদত দিচ্ছিলেন সাত্তার মোল্লারাই। ওঁরাই ইট নিয়ে আমাদের উপরে হামলা চালান। পুলিশকে ইট ছোড়ে। আমরা কাউকে মারধর করিনি।” |