অন্তঃসত্ত্বা এক বধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে পিটিয়ে মারা হল এক ব্যক্তিকে। গণপিটুনির ঘটনায় অভিযুক্ত ওই মহিলার স্বামীকে ধরতে পুলিশ গ্রামে আসে। বাধা দেয় জনতা। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। শেষমেশ অবশ্য গ্রেফতার করা হয় ওই ব্যক্তিকে। ঘটনাটি দেগঙ্গার সোয়াই-শ্বেতপুর পঞ্চায়েত এলাকার। গ্রামে পুলিশ-র্যাফ মোতায়েন আছে বলে জানিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহমুদ আখতার। গত শনিবার এগরার গ্রামে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দু’জনকে পিটিয়ে মারে জনতা।
ঘোষপাড়ার বাসিন্দা ওই বধূর পরিবারের অভিযোগ, সোমবার গভীর রাতে এক ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় ঢুকে পড়েন মহিলার ঘরে। সেই সময়ে তাঁর স্বামীও ছিলেন। অভিযোগ, মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি। |
দেগঙ্গায় ঘটনাস্থলে পুলিশ পিকেট। বুধবার সুদীপ ঘোষের তোলা ছবি। |
মহিলার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। ঘোষপাড়া-লাগোয়া বড় বিশ্বেশ্বরপুরের বাসিন্দা বছর আটত্রিশের ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলা হয়। বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে শুরু হয় মারধর। মঙ্গলবার ভোরে খবর পেয়ে দেগঙ্গা থানার পুলিশ প্রহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বারাসতের একটি নার্সিংহোমে পাঠায়। বুধবার ভোরে সেখানেই মারা যান ওই ব্যক্তি।
নিহতের পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের হয় ওই বধূর স্বামী-সহ কয়েক জনের নামে। তাঁদের অভিযোগ, অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে মারা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির দাদা বলেন, “চাষের জল নিয়ে মহিলার স্বামীর সঙ্গে বিরোধ ছিল ভাইয়ের। সেই জন্যই ডেকে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা হল ওকে।” অন্য দিকে, ওই মহিলার এক আত্মীয়ার বক্তব্য, “ওই ব্যক্তির স্বভাব ভাল ছিল না। সে কথা গ্রামের অনেকেই জানে। মহিলাদের উত্ত্যক্ত করত। রাতদুপুরে অন্তঃসত্ত্বা মহিলার ঘরে চড়াও হওয়ায় প্রতিবাদ করেছেন গ্রামের মানুষ।”
নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দেগঙ্গার পুলিশ বুধবার দুপুরে ঘোষপাড়ায় আসে। বাধা দেন গ্রামবাসীদের একাংশ। ওই বধূর এক আত্মীয়কে ধরে মারধরও করেন নিহতের পরিবার-পরিজন। তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছে বারাসত হাসপাতালে। পরে চারটি থানার পুলিশ, র্যাফ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। |