ওয়াসিমের শেখানো স্লোয়ারই অস্ত্র দিন্দার
স্ট্রেলিয়ায় গিয়ে টানা আট ম্যাচে প্রথম এগারোর বাইরে থাকতে হয়েছে মনোজ তিওয়ারিকে। মনোজের টিমমেট এবং সদ্য জাতীয় দলের ছাড়পত্র পাওয়া অশোক দিন্দা কিন্তু বাংলাদেশের এশিয়া কাপে বসে না থাকার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।
এক বছর পর আবার জাতীয় দলে ডাক পড়েছে তাঁর। গত বছর এশিয়া কাপেই ভারতের হয়ে শেষ বার জার্সি পরেছিলেন। এবং সুযোগ পেয়েই স্রেফ ব্যাগপত্তর গুছিয়ে উড়ে যাওয়া নয়, অশোক দিন্দা যাচ্ছেন রীতিমতো প্রস্তুতি নিয়ে। ব্রক্ষাস্ত্র হিসেবে কিটব্যাগে থাকছে কেকেআর-এর বোলিং কোচ ওয়াসিম আক্রমের শেখানো ‘স্লোয়ার’, যার যথাযথ প্রয়োগ তিনি করতে চান আগামী ১১ মার্চ থেকে শুরু হতে চলা এশিয়া কাপে।
আক্রমকে এ বার আর আলাদা করে ফোন করবেন না। কিন্তু সোমবার আনন্দবাজারকে দিন্দা বলছিলেন, “আমার ইচ্ছে আছে বাংলাদেশে স্লোয়ার, ইয়র্কারটা ব্যবহার করার। আজকের ম্যাচেও করেছি। ওয়াসিম স্যর যে টোটকাগুলো দিয়েছিলেন, সেগুলো টি-টোয়েন্টিতে কাজে লাগে। তবে উপমহাদেশের উইকেটে স্লোয়ার কী ভাবে দিতে হয়, সেটা কেকেআরে খেলার সময় ওঁর কাছে শিখেছি। এশিয়া কাপে ওই স্লোয়ারটা নিশ্চয়ই ব্যবহার করার ইচ্ছে আছে।”
বুধবার ইডেনে দিন্দার ছবি তুলেছেন শঙ্কর নাগ দাস
বুধবার দুপুর-দুপুর ইডেন গার্ডেন্সে ম্যাচ চলার ফাঁকেই খবর পান, এশিয়া কাপের দলে আছেন। টিমমেট অনুষ্টুপ মজুমদারই খবরটা দিয়ে আসেন দিন্দাকে। পরে ড্রেসিংরুমের বাইরে দাঁড়িয়ে এই মরসুমে দেশের সফলতম জোরে বোলার (এখনও পর্যন্ত মরসুমে ৬২টি উইকেট) বলছিলেন, “চ্যালেঞ্জার থেকে বাদ পড়লাম। অস্ট্রেলিয়া সফরের টিমে থাকলাম না। ফিরে আসার জেদ ভেতরে ভেতরে তৈরি হচ্ছিল আপনাআপনি। মরসুমে এতগুলো উইকেট সেই জেদকেই প্রমাণ করে।”
জাতীয় দলে দিন্দাকে রাখা নিয়ে এত দিন যিনি বারবার সওয়াল করে এসেছেন, সেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এ দিন মাঠে ছিলেন না। কিন্তু শুভেচ্ছা জানিয়ে এসএমএস পাঠাতে দেরি হয়নি। আইপিএলে এ বার যাঁর পুণে ওয়ারিয়র্স সংসারের অন্যতম সদস্য দিন্দা। কথা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায় থাকা মনোজ তিওয়ারির সঙ্গেও। দিন্দা পরিষ্কার করে দিচ্ছেন, স্রেফ দলে আছেন বলে আত্মতুষ্টিতে ভোগার মতো সময় তাঁর নেই। বরং নিতে চান কঠোর প্রস্তুতি, যাতে কি না আর একটা-দু’টো ম্যাচ খেলে বাদ না পড়তে হয়। “এই মরসুমের গোড়া থেকেই তো খাটছিলাম। নেটে একটা স্টাম্প পুঁতে লাইন আয়ত্ত করার চেষ্টা করেছি দিনের পর দিন।”
মনে-মনে ওষুধও তৈরি করছেন প্রতিপক্ষ ধরে। যেমন পাকিস্তান। যেমন শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানের পেস আক্রমণ বেশ শক্তিশালী। উমর গুল আছেন। আছেন আইয়াজ চিমা, যাঁরা কি না চাইবেন পেসের তপ্ত কড়াইয়ে ফেলে ভারতকে ভাজতে! একটুও ঘাবড়ানো নেই, বরং শুনে দিন্দা পাল্টা ঝাঁঝিয়ে উঠলেন, “বাংলাদেশের উইকেট আমার কাছে অচেনা নাকি? আমি যে কোনও পিচ থেকে উইকেট তুলতে পারি এখন। আর গুল পেস দিয়ে মারবে? তা হলে শুনে রাখুন, সুযোগ পেলে আমিও পেস দিয়েই ভয় দেখাব পাকিস্তানকে!”




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.