আজ থেকে শুরু হল ৩০তম আগরতলা বইমেলা। শহরের শিশু উদ্যানে বইমেলার উদ্বোধন করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। রাজ্যের বিশিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তিত্ব ছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অনুপম সেন। বইমেলা চলবে ১১ মার্চ পর্যন্ত।
বইমেলা প্রাঙ্গণ ভরে উঠেছে দৃষ্টিনন্দন সাজে। একশোর বেশি স্টল থাকছে এ বারের বইমেলায়। ত্রিপুরার প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতারা ছাড়াও দিল্লি, কলকাতা, গুয়াহাটি এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকেও পুস্তক বিক্রেতারা হাজির তাঁদের গ্রন্থ সম্ভার নিয়ে। বইমেলা উপলক্ষে প্রতি দিন থাকছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কিছু অনুষ্ঠান হবে সুকান্ত অ্যাকাডেমিতে। |
১৯৮১ সালে রাজ্যের তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী নৃপেন চক্রবর্তীর হাত ধরে সরকারি ভর্তুকিতে আগরতলা বইমেলার পথচলা শুরু। মেলাটি হয়েছিল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন প্রাঙ্গণে।
এ বারও রাজ্যের ২৫টি প্রকাশনা সংস্থা থেকে প্রায় ২৫০টি নতুন বই প্রকাশিত হবে। ইংরেজি, বাংলা, ককবরক ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষায়। প্রকাশক সংস্থার একাংশের দাবি, গুণমান, বিষয় বৈচিত্র্যের নিরিখে এ রাজ্যের প্রকাশিত বইগুলি যথেষ্টই পাঠক-সমাদৃত। ত্রিপুরার সাহিত্য চর্চা, কাব্যচর্চা ও জনমানসে উন্নত চেতনা ও মূল্যবোধ ছড়িয়ে দিতে এই বইমেলার ভূমিকা অনস্বীকার্য। ১৯৮১ সাল থেকে এ পর্যন্ত জেলা, ব্লক ও মহকুমা স্তর-সহ এ রাজ্যে দু’শোর বেশি বইমেলা হয়েছে। বছরে এখন এ রাজ্যে ১৫-১৬টি বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়। |