রেলের স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত |
রেলের একটি অসমীয়া মাধ্যমের স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে অন্য ভাষা-মাধ্যমের স্কুলে হামলা চালাবার হুমকি দিল আলফা। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে খবর, তিনসুকিয়ার হিজুগুড়িতে রেলওয়ে নিম্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমান ছাত্র সংখ্যা মাত্র ৩৫। দু’জন শিক্ষক রয়েছেন স্কুলে। ১৯৫৯ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। ছাত্রসংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকায় আগামী শিক্ষাবর্ষে স্কুলটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রেল। তবে বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান। আলফার হুমকির পর আজ সন্ধ্যায় রেলের তরফে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আজ আলফার পরেশপন্থী গোষ্ঠী বিবৃতি পাঠিয়ে বলে, অসমীয়দের অ-শিক্ষার অন্ধকারে ঠেলে দেওয়ার লক্ষ্যেই রেল স্কুল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আলফার হুমকি, যদি অসমীয় ভাষাকে অপমান করে এই স্কুলটি বন্ধ করে দেওয়া হয়, তবে বাংলা ও হিন্দি মাধ্যমের সরকারি স্কুলগুলিকে এর ফল ভোগ করতে হবে। উত্তর-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সীতু সিংহ হাজোং জানান, স্কুল বন্ধ করা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তটি বর্তমানে সদর দফতরের বিবেচনাধীন। পরে, সন্ধ্যায় উত্তর-পূর্ব রেলের তরফে ঘোষণা করা হয়, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় মানুষের স্বার্থে স্কুলটি বন্ধ করা হবে না।
|
অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের ভাণ্ডারের সন্ধান ঝাড়খণ্ডে |
জঙ্গলে জঙ্গি ঘাঁটির সন্ধান করতে গিয়ে মিলল বিস্ফোরক বানানোর বিপুল পরিমাণ উপকরণ। গ্রেফতার হয়েছে দু’জন। পুলিশ জানায়, ঝাড়খণ্ডের কোডারমা জেলার ছত্তারবারের গভীর জঙ্গলে কাল উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় বারোশো বস্তা ভর্তি অ্যামুনিয়াম নাইট্রেট। এর বাজার মূল্য ২৫ লক্ষ টাকার মতো। ল্যান্ডমাইন-সহ উচ্চ ক্ষমতার বিস্ফোরক তৈরির অন্যতম প্রয়োজনীয় উপকরণ ওই পদার্থটি। জেলার পুলিশ সুপার শম্ভু ঠাকুর জানিয়েছেন, কাল রাতে ছত্তারবারের গভীর জঙ্গলে পুলিশি অভিযানে অ্যামুনিয়াম নাইট্রেট মজুত রাখার একটি বড়সড় ভাণ্ডারের খোঁজ মিলেছে। রীতিমতো শক্তপোক্ত স্টোর রুমের আদলে বানানো বড়মাপের একটি ঘরে রাখা ছিল ১১৭০টি বস্তা ভর্তি ওই পদার্থ। জঙ্গল থেকেই একটি চক্র বিস্ফোরক পদার্থ সরবরাহের কারবার চালাচ্ছিল। জঙ্গলের ওই মজুত ভাণ্ডার থেকে জঙ্গি সংগঠনগুলির কাছে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সরবরাহ হত।
|
টু-জি কাণ্ডে কেন্দ্র চ্যালেঞ্জ করবে না সুপ্রিম কোর্টের রায় |
সুপ্রিম কোর্টের টু-জি লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করবে না কেন্দ্র। তবে তার কিছুটা পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাতে পারে তারা। আজ এই ইঙ্গিত দেন টেলিকম সচিব আর চন্দ্রশেখর। আইডিয়া সেলুলারও সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে। টাটা টেলিসার্ভিসেসও একই দাবি তুলেছে। চন্দ্রশেখর বলেন, “এ সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ চূড়ান্ত করছি।”
|
পথ দুর্ঘটনায় ত্রিপুরায় মৃত্যু ঘটল চারজনের। গত সোমবার গভীর রাতে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে রেশমবাগান সংলগ্ন এলাকায় বড় গাছে ধাক্কা মারে একটি গাড়ি। গাড়ির চালক-সহ চার আরোহী মারা যান। গুরুতর ভাবে জখম হন আর এক আরোহী। গাড়িটি আসছিল খয়েরপুর থেকে আগরতলায়। পুলিশের অনুমান, গাড়িটি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে চালানো হচ্ছিল। চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ঘটে দুর্ঘটনা।
|
মুন্ডার নিরাপত্তা উপদেষ্টার ইস্তফা |
মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডার নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ থেকে আজ আচমকাই ইস্তফা দিলেন ডি এন গৌতম। রাজ্য পুলিশের পদস্থ আধিকারিকদের একাংশের সঙ্গে মতানৈক্যই এই পদত্যাগের কারণ বলে মনে করছেন পুলিশের একাংশ। গৌতমের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, অবিভক্ত বিহারের ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশের দায়িত্বে ছিলেন ডিএন গৌতম। ২০১১ সালের ১৭ জানুয়ারি থেকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
|
ফের চোরাগোপ্তা হামলা চালাল গারো জঙ্গিরা। এ বার এসডিপিওর গাড়িতে। কাল বিকালে পশ্চিম গারো পাহাড়ের রামদাপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, সাচেং আর মারাক নামে ওই এসডিপিও তুরা থেকে বারেংগাপাড়া যাচ্ছিলেন। বারেংগাপাড়া থেকে ১০ কিলোমিটার আগে জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা জনা দশেক জঙ্গি মারাকের গাড়ি তাগ করে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি চালাতে থাকে। পুলিশও পাল্টা জবাব দেয়। মারাকের গাড়িতে বেশ কিছু গুলি লাগলেও তিনি বা অন্য পুলিশকর্মীরা জখম হননি। পুলিশের ধারণা, বাইচুং মোমিনের নেতৃত্বে জিএনএলএ জঙ্গিরাই এই আক্রমণ চালিয়েছে। পৃথক ঘটনায়, অসমের চিরাংয়ে বনরক্ষী ও কাঠের চোরা কারবারিদের মধ্যে কাল সন্ধ্যায় আবার গুলির লড়াই বাধে। তবে কেউ জখম হয়নি।
|
রাজ্যের নাট্য আন্দোলনের ইতিহাস সমৃদ্ধ একটি নতুন বই-থিয়েটার ইন ত্রিপুরা: ফ্রম দ্য পেজেস অফ হিস্ট্রি প্রকাশিত হল। প্রেস ক্লাবে বইটি প্রকাশ করলেন রাজ্য শিল্প নিগমের চেয়ারম্যান পবিত্র দাস। বইটির লেখক রাজ্যের প্রাক্তন আমলা তথা নাট্যব্যক্তিত্ব সুভাষ দাস। |