ধর্মঘটেও অনড় কেন্দ্র, আলোচনার আর্জি শ্রমিক সংগঠনের
র্মঘটের বিরুদ্ধে ‘ধর্মযুদ্ধে’ অবতীর্ণ হওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘সমুচিত জবাব’-এর হুমকি। পাশাপাশি আলোচনায় বসার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কাতর আবেদন। সাধারণ ধর্মঘটের পরের দিন আজ কার্যত দোদুল্যমান অবস্থানে শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব।
১১টি শ্রমিক সংগঠনের তরফে আজ বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘যদি কোনও সরকার ধর্মঘটে যোগ দেওয়া শ্রমিক-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দমনমূলক বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়, তা হলে তার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।’ নাম না করা হলেও ইঙ্গিত পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের দিকেই। সিটু-র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তপন সেনের বক্তব্য, “গতকাল পশ্চিমবঙ্গে ২০০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধর্মঘটে যাঁরা যোগ দিয়েছেন, তাঁদের উপর হামলা হয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের ‘ব্রেক অফ সার্ভিস’ ও অন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থার ভয় দেখানো হচ্ছে। আমাদের দাবি না মানলে ফের সংঘর্ষে যাব।”
মুখে এই হুমকি দিলেও আইএনটিইউসি, এআইটিইউসি, সিটু, বিএমএস-নেতৃত্ব আজ স্বীকার করে নিয়েছেন, নিজেদের দাবিদাওয়া পূরণের জন্য দেশ জুড়ে সাধারণ ধর্মঘটই ছিল তাঁদের ‘শেষ হাতিয়ার’। সেই হাতিয়ার প্রয়োগ হয়ে যাওয়ার পরেও ফল মেলেনি। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ধর্মঘটের দু’দিন আগে আইএনটিইউসি-সভাপতি জি সঞ্জীব রেড্ডির কাছে আলোচনায় বসার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। রেড্ডি দাবি তোলেন, সব সংগঠনের নেতাদের বৈঠকে ডাকতে হবে। তারপর থেকে সরকারি তরফে আর কোনও সাড়া মেলেনি। রেড্ডি থেকে শুরু করে তপন সেনরা আজ কার্যত তাই সরকারের কাছে আবেদন করেছেন, এ বার তাঁদের আলোচনায় ডাকা হোক। সঞ্জীব রেড্ডি বলেন, “আমরা ধর্মঘট ডেকেছিলাম যাতে সরকার আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে। আমরা যে কোনও সময় আলোচনায় বসতে তৈরি।” তপনবাবু বলেন, “আমরা চাইছি, এখানেই বিষয়টা শেষ হোক। আমাদের কথা শোনা হোক। তা না হলে আমরা ফের আন্দোলনে যাব।”
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, শ্রমিক সংগঠনগুলি ইতিমধ্যেই শিল্প ধমর্ঘট, জেল ভরো কর্মসূচি নিয়ে ফেলেছে। চূড়ান্ত পদক্ষেপ ছিল গতকালের সাধারণ ধর্মঘট। তার পরেও সরকারের দিক থেকে আলোচনায় বসার ইঙ্গিত মেলেনি। উল্টে মনমোহন-সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, শ্রমিক সংগঠনগুলির দাবির অধিকাংশই মেনে নেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শ্রমিক সংগঠনগুলির পক্ষে আর কী করা সম্ভব? ‘ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ নিয়ে এই প্রশ্নের অবশ্য স্পষ্ট জবাব মেলেনি। এআইটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক গুরুদাস দাশগুপ্তর বক্তব্য, “আমরা এই পথেই আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাব।”
বাম-বিজেপির সঙ্গে নিজের দলের সরকারের বিরুদ্ধে হাত মেলালেও, আইএনটিইউসি-সভাপতি তথা কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য সঞ্জীব রেড্ডি অবশ্য একে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই হিসেবে দেখতে রাজি নন। তাঁর যুক্তি, সরকারকে রাজনৈতিক ভাবে দুর্বল করার জন্য এই আন্দোলন নয়। শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষার জন্যই এই আন্দোলন হচ্ছে। এ বিষয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর ‘সহানুভূতি’-ও তাঁর সঙ্গেই আছে বলে রেড্ডির দাবি।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.