|
|
|
|
তদন্তে সিবিআই |
কুড়ানকুলামে বিদেশি হাত, ফেরানো হল জার্মান ‘পর্যটককে’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
কুড়ানকুলাম নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগের সত্যতা প্রমাণে তৎপর হয়ে উঠল কেন্দ্র। রাশিয়ার সহযোগিতায় কুড়ানকুলামে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরির কাজ প্রায় শেষ। কিন্তু আপাত ভাবে ‘স্থানীয়দের আন্দোলনেই’ সেটির কাজ থমকে রয়েছে। কিন্তু মনমোহন সিংহ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু করার পথে কাঁটা হচ্ছে কিছু বিদেশি শক্তি। ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের টাকা জোগাচ্ছে আমেরিকা ও অন্য কয়েকটি দেশ। মনমোহন সিংহের সাম্প্রতিক এই মন্তব্যের প্রতিবাদে আন্দোলনকারী একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাল আইনি নোটিসও পাঠায় প্রধানমন্ত্রীকে। তা নিয়ে কোনও মন্তব্য না করে কেন্দ্র প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমর্থনে তথ্য প্রকাশ করেছে।
গোয়েন্দাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম আজ জানিয়েছেন, কুড়ানকুলামে বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ার বিরুদ্ধে যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের সঙ্গে যুক্ত থাকার দায়ে এক জার্মান নাগরিককে কাল তাঁর দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর নাম সনটেগ রাইনার হেরমান। পর্যটক ভিসা নিয়ে তিনি মোট চার বার ভারতে এসেছিলেন। আন্দোলকারীদের সঙ্গে তাঁর জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, পর্যটক ভিসা নিয়ে এসে কেউ অন্য কাজে লিপ্ত হলে তাঁকে ফেরত পাঠানোর অধিকার রয়েছে ভারতের।
চিদম্বরম আরও জানিয়েছেন, বিদেশি মদত নেওয়ার অভিযোগে কুড়ানকুলামে সক্রিয় চারটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হয়েছে। দু’টির বিরুদ্ধে তদন্ত করছে সিবিআই। বাকি দু’টির বিরুদ্ধে তামিলনাড়ু পুলিশ তদন্ত করছে। গোটা পর্বে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা নীরব রয়েছেন। স্থানীয় আবেগের সঙ্গে যুক্ত থেকে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে তিনি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু করার বিরোধিতা করে এসেছেন এত দিন। কিন্তু বিদেশি শক্তির মদত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মুখ খোলার পরই মৌনী নিয়েছেন জয়ললিতা। কেন্দ্রের কাছে এটা স্বস্তিদায়ক ও ইতিবাচক পরিবর্তন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তার মতে, ওই আন্দোলনের পিছনে বিদেশি শক্তির আর্থিক সাহায্য রয়েছে, রাজ্য গোয়েন্দাদের কাছ থেকে জয়ললিতাও সেই তথ্য পেয়েছেন। ওই আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়ানো তাঁর পক্ষেও মুশকিল। |
|
|
|
|
|