|
|
|
|
|
বিস্ফোরণের ছক ফাঁস,
দিল্লিতে ধৃত দুই
নিজস্ব প্রতিবেদন |
|
হোলির আগে-পরে রাজধানীর জনবহুল এলাকায় বিস্ফোরণের ছক বানচাল করা হয়েছে বলে দাবি করল দিল্লি পুলিশ। পুলিশের স্পেশাল সেল-এর তরফে বলা হয়েছে, পাকিস্তান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসা দুই কট্টর লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি এতিসাম আহমেদ মালিক এবং ও সাফাকতকে বুধবার গ্রেফতার করা হয়। তারাই এই হামলার ছক কষেছিল। এই দুই জঙ্গির গ্রেফতারের ঘটনাকে ‘বড় সাফল্য’ বলে বর্ণনা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম এক সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, কোনও ভিআইপি-র উপর ‘ব্যক্তিকেন্দ্রিক’ হামলা নয়। গত সেপ্টেম্বরে দিল্লি হাইকোর্টের বাইরে জনবহুল এলাকায় যেমন বিস্ফোরণ হয়েছিল, তেমন বিস্ফোরণের ছক কষেছিল ওই দুই জঙ্গি।
দিল্লির পুলিশ কমিশনার বি কে গুপ্ত রাতে বলেন, জম্মু-কাশ্মীর ও ঝাড়খণ্ড পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তুঘলকাবাদের একটি রেল স্টেশন থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কাশ্মীর পুলিশের আইজি এস এম সহায় আনন্দবাজারকে জানান, ধৃত দু’জনই কাশ্মীরের সোপোরের বাসিন্দা। এতিসাম ফুলফলের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। এর আগেও সে সন্ত্রাসবিষয়ক মামলায় জেল খেটেছে। অন্য জন জাহিদ আহমদ জারকর (দিল্লি পুলিশ যাকে সাফাকত বলে উল্লেখ করেছে) নয়াদিল্লির একটি কল সেন্টারে গত এক বছরেরও বেশি সময় কাজ করছিল। দু’জনেরই বয়স বছর পঁচিশ।
দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল কমিশনার পি এন অগ্রবাল জানান, ধৃতদের কাছ থেকে প্রচুর বিস্ফোরক ও মোবাইল ফোনের মেমরি কার্ড পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরে এ কে-৪৭ চালানো ও ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানোর প্রশিক্ষণ নিয়েছিল সাফাকতরা। জানুয়ারিতে তারা ভারতে ফেরে। সেই প্রশিক্ষণ শিবিরের ভিডিও ফুটেজ ওই মেমরি কার্ডে মেলায়, ভারতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে পাকিস্তানের সরাসরি মদত দেওয়ার বিষয়টিও ফের প্রমাণ হল বলে অগ্রবাল দাবি করেছেন। আপাতত দুই জঙ্গিকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। |
|
|
|
|
|