রাত পোহাতেই সরকারি বাসে টান, ভোগান্তি
ঙ্গলবার যারা ছিল ১০০-এ ১০০ পাওয়া ‘ফার্স্ট বয়’, বুধবার তারাই একেবারে ‘ডাহা ফেল’।
যাত্রী না-থাকলেও মঙ্গলবার ধর্মঘটের শহরে ‘লাইফলাইন’ ছিল সরকারি বাস। কিন্তু রাত পোহাতেই বাস-ট্রামের সংখ্যা কমিয়ে ফেলল কলকাতা রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা (সিএসটিসি) এবং কলকাতা ট্রাম সংস্থা (সিটিসি), এ দিন মাধ্যমিক, আইসিএসই, আইএসসি পরীক্ষা থাকা সত্ত্বেও। এমনকী, বাসের সংখ্যা কমে গেল সোমবার, অর্থাৎ ধর্মঘটের আগের দিনের থেকেও। সরকারি বাসের অপেক্ষায় থাকা বহু মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে নিয়ে তাঁদের অভিভাবকেরা শেষ মুহূর্তে ট্যাক্সি চেপে পৌঁছলেন পরীক্ষা হলে।
পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, সোমবার সিএসটিসি-র ৩৭৩টি বাস রাস্তায় নেমেছিল। মঙ্গলবার, ধর্মঘটের দিনে তা বাড়িয়ে করা হয় ৪৬২টি। বুধবার তা কমে হয় ৩০২। এ দিন দুপুরের পরে বাসের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ২৫৯-এ। একই ভাবে এ দিন কলকাতা ট্রাম সংস্থার (সিটিসি) বাস ও ট্রামের সংখ্যাও কমেছে। মঙ্গলবার সিটিসি-র ২২০টি বাস এবং ১২০টি ট্রাম রাস্তায় বেরিয়েছিল। বুধবার বার হয়েছে যথাক্রমে ১৮৭ এবং ৯২টি।
ধর্মঘটের মোকাবিলায় মঙ্গলবার না হয় বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু সোমবারের থেকেও এ দিন বাসের সংখ্যা কমে গেল কেন?
সিএসটিসি কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, ধর্মঘটের দিন কাজ না-করলে শাস্তির কোপে পড়তে হবে এই আশঙ্কায় সোমবার দূরে থাকা অনেক কর্মীই রাতে থেকে গিয়েছিলেন বিভিন্ন ডিপোয়। বুধবার তাঁদের অনেকেই আসেননি। কর্মীর সংখ্যা কম থাকাতেই বাসের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। সিএসটিসি-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রসন্নকুমার মণ্ডল বলেন, “গত দু’দিন কর্মীদের উপরে কাজের চাপ বেশি হওয়ায় অনেকে আজ আসতে পারেননি।”
একই যুক্তি সিটিসি-র তরফেও। তাঁরাও বলেন, কর্মীদের অনুপস্থিতির জন্যই এ দিনের এই হাল। দুই সংস্থার সিটু-নিয়ন্ত্রিত কর্মী-সমিতির নেতারা বলেন, শ্রমিক-কর্মীদের একাংশ সোমবার রাত থেকে ডিপোয় ছিলেন। অনেকে ছিলেন মঙ্গলবার ভোর থেকে। এ কারণে ওঁদের একটা বড় অংশ বুধবার ছুটি নিয়েছেন। মঙ্গলবারের ধর্মঘটে যাঁরা গরহাজির ছিলেন, পরিবহণমন্ত্রীর ‘হুমকি’র পরে তাঁদের একাংশ বেতন কাটার আশঙ্কায়। বুধবার যাঁরা গরহাজির, তাঁদেরও কি বেতন কাটা হবে? পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “ধর্মঘটে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে মঙ্গলবার কাজে হাজির থাকার বিশেষ চেষ্টা করা হয়। বুধবার তো বেসরকারি বাস-মিনিবাস ভাল চলেছে! তা হলে কেন সরকারি বাসের অনুপস্থিত কর্মীদের বেতন কাটার কথা ভাবব?” এ দিন কামারহাটিতে এক কর্মী সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, রাস্তার ধারে জেএনএনইউআরএমের প্রায় ৩০০টি বাস পড়ে আছে। সেগুলিকে সরকার অধিগ্রহণ করে পথে নামাবে। তিনি বলেন, “মঙ্গলবারের ধর্মঘট প্রমাণ করেছে, এ সব দিনে রাস্তায় সরকারি বাস বেশি নামলে আরও বেশি মানুষ পথে বেরোতে পারবেন। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত।”
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.