টুকরো খবর
রামপুরহাটে বিক্ষোভ
স্মারকলিপি দিতে আসার সময়ে একটি অফিসের গেটে তালা দিয়ে দেন রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির রামপুরহাট ডাকবাংলো পাড়া গ্রাহককেন্দ্রের আধিকারিক। এই অভিযোগে অফিসের প্রবেশদ্বারে সিঁড়িতে ঘণ্টাখানেক বসে অবস্থান-বিক্ষোভ করলেন আইএনটিইউসি প্রভাবিত রামপুরহাট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সংগঠন। বুধবারের ঘটনা। সংগঠনের সভাপতি অভিজিৎ মনি ও সম্পাদক সাহাজাদা হোসেন কিনুদের অভিযোগ, “অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র তালা দিয়ে শুধু অপমান করেননি, অনেক বয়স্ক গ্রাহকদের দীর্ঘক্ষণ ঢুকতে না দিয়ে হয়রান করেছেন।” পুলিশ এলেও অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র সূর্যপ্রকাশ সিংহ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। সূর্যবাবু বলেন, “আমি এদিন কয়েক জনের সঙ্গে আলোচনার জন্য ডেকেছিলাম। পরে পতাকা-ফেস্টুন নিয়ে সংগঠনগত ভাবে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা জানতে পেরে মূল গেটে তালা দিয়ে দিই। বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় সে জন্য পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ আসার পরে তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসি।” অভিজিৎবাবুদের অর্ভিীোগ, “রামপুরহাটের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের বেশকিছু এপিএল, বিপিএল গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে না, অথচ বিল চলে আসছে। এর জ্যন স্মারকলিপি দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।” তাঁরা জানান, ইঞ্জিনিয়র আলোচনা ডাকলে তাঁরা আলোচনায় বসেন। সূর্যবাবু বলেন, “ওই এলাকায় ট্রান্সফর্মার বসানোর জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। তবে বিপিএল গ্রাহকদের বিষয়টি যতক্ষণ না গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন দফতর থেকে আমাদের কাছে স্থানান্তরিত হচ্ছে, আমরা কিছু করতে পারব না। তবে ঠিকাদারদের জন্য বিদ্যুৎ না থাকলেও বিল পৌঁছে যাচ্ছে।” বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার পরে বিল সংশোধন করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

স্মারকলিপি
মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার বন্ধের দিন সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু মহম্মদবাজারের ফুল্লাইপুর মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র খোলা হয়নি এই অভিযোগে বুধবার বিডিও-র কাছে স্মারকলিপি দিলেন কয়েক জন গ্রামবাসী। এ দিন তাঁরা স্কুল খুলতে বাধা দেন। প্রধান শিক্ষক শ্রীজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, “বন্ধের দিন ছুটির জন্য ৬ জন শিক্ষক পরিচালন সমিতির সম্পাদকের কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম। সেই মতো ওই দিন কেউ স্কুলে আসিনি। এ দিন অহেতুক কিছু বাইরের লোকজন তালা খুলতে বাধা দেওয়ায় বিডিও বা তাঁর প্রতিনিধি আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করি।” স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক সুভাষ মণ্ডল বলেন, “৬ জন শিক্ষক ছুটির আবেদন নিয়ে আমার কাছে গিয়েছিলেন। আমি বাড়িতে ছিলাম না। স্ত্রীর কাছে আবেদনপত্র রেখে আসেন। আমি এই ভাবে ছুটি মঞ্জুর করতে পারি না। আবার একার অধিকার নেই। এ ব্যাপারে প্রশাসন যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে।” বিডিও সুতীর্থ দাস বলেন, “দু’জন প্রতিনিধিকে পাঠানো হয়েছিল। স্কুল বন্ধ ছিল। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।” অন্য দিকে, বন্ধের দিন পুলিশ অকারণে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উপরে নির্যাতন চালিয়েছে। এই অভিযোগে বুধবার মহম্মদবাজারে মুখো কালো কাপড় বেঁধে মিছিল বের করে সিপিএম।

টুকলিতে বাধা, হামলা
টুকলি যোগানে বাধা দেওয়ায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটল নলহাটি থানার লোহাপুর মহাবীর রাম হাইস্কুলে। ইটের আঘাতে বুধবার পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা এক সিভিল ডিফেন্স কর্মীর মাথা ফেটে যায়। ইটের টুকরো এসে পড়ে এক শিক্ষকের পিঠে। এ দিন মাধ্যমিকের ইতিহাস পরীক্ষা ছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে টুকলির যোগান দিচ্ছিল নলহাটি থানার হয়দরপুর গ্রামের আসমান শেখ নামে এক যুবক। পুলিশের তাড়া খেয়ে পালাতে গিয়ে সে পড়ে যায়। ওই সময় পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে থাকা লোকজন চিৎকার করতে করতে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকে। ভয়ে পুলিশকর্মীরা পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে ঢুকে পড়ে। ওই সময় স্কুলে উপস্থিত ছিলেন পরীক্ষাকেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ রামেন্দুসুন্দর চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, বড় রকমের বিশৃঙ্খলা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বুঝতে পেরে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে যোগাযোগ করি। ১০ মিনিটের মধ্যে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।” জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “লোহাপুর পরীক্ষাকেন্দ্রে একটা বিশৃঙ্খলা হয়। এক জন জখম হয়েছেন। ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।” এ বার এই স্কুলে এলাকার ৬টি স্কুলের ৯৪২ জন পরীক্ষা দিচ্ছে।

পুড়ল ৩টি বাড়ি
নলহাটি থানার নিধিয়া গ্রামে গোয়ালঘরের আগুন থেকে ভস্মীভূত হল তিনটি খড়ের ছাউনি মাটির বাড়ি। সোমবার রাতের এই ঘটনায় একটি গরু গুরুতর জখম হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।

বৃদ্ধের অপমৃত্যু
কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হলেন এক বৃদ্ধ। পুলিশ সূত্রে খবর, দীনবন্ধু মণ্ডল (৬৫) নামে ওই বৃদ্ধের বাড়ি রামপুরহাট থানার সাকিরপুর গ্রামে। মঙ্গলবার সকালে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক বিবাদের জন্য আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি।

পুড়ে মৃত্যু
মৃত্যু হল অগ্নিদগ্ধ এক বধূর। মৃতার নাম অর্চনা দুলে (৩০)। বাড়ি বাঁকুড়ার খাতড়া থানার হেতিয়াশোলে। গত শুক্রবার বিকেলে বাড়ির উঠোনে রান্না করার সময়ে কাপড়ে আগুন লেগে যায়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.