তুষারধসে কাশ্মীরে মারা গিয়েছেন তিন বাঙালি-সহ ১৬ জন সেনা জওয়ান। ওই তিন বাঙালির নাম সুবেদার মহাদেব গায়েন, সাগর বিশ্বাস এবং প্রবীর সরকার। বেশ কয়েক জন এখনও নিখোঁজ।
বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিক্ষিপ্ত তুষারধস চলছে কাশ্মীর উপত্যকায়। গত মাসেও তুষারধসে মৃত্যু হয়েছিল এক বিএসএফ অফিসারের। গত কাল সন্ধ্যা এবং রাতেও কাশ্মীরে দু’দফায় তুষারধস নামে যথাক্রমে সোনমার্গ এবং গুরেজ এলাকায়। সুবেদার মহাদেব গায়েন যে সেনা-শিবিরটিতে ছিলেন, সেটির সঙ্গে অবশ্য গত তিন দিন ধরেই কোনও যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। মহাদেববাবু কর্মরত ছিলেন গুরেজের ৫২৩১ নম্বর ব্যাটেলিয়নে। সেনার তরফে তাঁর পরিবারকে জানানো হয়েছে যে, ১৯ তারিখে এক তুষারধসে চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন মহাদেববাবু-সহ ৪ জওয়ান। অন্য দুই বাঙালি জওয়ান ঠিক কোন শিবিরে ছিলেন, তা নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। |
গত সন্ধেয় সোনমার্গ এলাকার গান্ডেরবাল জেলার একটি সেনা-শিবির তুষারধসের কবলে পড়ে। মৃত্যু হয় ৩ জওয়ানের। দ্বিতীয় তুষারধসটি হয় রাত প্রায় সওয়া ৯টা নাগাদ। ক্ষতিগ্রস্ত হয় নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে বান্দিপোরা জেলার গুরেজ উপত্যকায় আরও একটি সেনা শিবির। এই শিবিরটিতে ৯ জন জওয়ান মারা যান বলে জানিয়েছেন ফিফটিন্থ কোরের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (স্টাফ) কে এল চহ্বাণ। তিনি আরও জানান, লাগাতার তুষারপাতের কারণে উদ্ধারকাজ কিছুটা বিঘ্নিত হয়েছে। কাশ্মীর উপত্যকার অন্যান্য অঞ্চল থেকেও ওই সেনা-শিবিরে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে।
প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল জে এস ব্রার এ দিন বলেন, “গুরেজ উপত্যকার ওই অঞ্চলে এই প্রথম বার তুষারধস হল।” যদিও কাশ্মীরের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর গত দু’সপ্তাহ ধরে প্রায় প্রতিদিনই তুষারধসের সতর্কতা জারি করছিল। সম্প্রতি প্রচুর বৃষ্টিও হচ্ছিল ওই অঞ্চলে। মূলত এতেই তুষারধস-প্রবণ হয়ে পড়ে ওই এলাকা। প্রশাসনের তরফ থেকে এখনও এলাকার সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মৃত জওয়ানদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে আজ টুইট করেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল এন এন ভোরাও। অন্য একটি টুইটে ওমর জানিয়েছেন, ‘ব্যক্তিগত বার্তা’ নিয়ে রাজ্যের কয়েক জন মন্ত্রীও যাবেন কোর কম্যান্ডারের কাছে।
|