টুকরো খবর
যাবজ্জীবন সাত জনের
ছেলেকে না পেয়ে তাঁর বাবা-মাকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় ৭ বাম কর্মী-সমর্থককে যাবজ্জীবন দন্ড দিল জেলা আদালত। ৫জন সিপিএমের ও ২জন ফরওয়ার্ড ব্লক সমর্থক বলে এলাকায় পরিচিত। বুধবার জেলা আদালতের অতিরিক্ত সেশন বিচারক বিবেক চৌধুরী ওই রায় দেন। সাজাপ্রাপ্তদের নাম সুলে মহম্মদ, মোফাজ্জর মিঁয়া, মজিবর মিঁয়া, মকবুল মিঁয়া, নিতাই সরকার, হেমেল অধিকারী ও হাসান আলি। হেমেল ও মকবুল ফরওয়ার্ড ব্লক এবং বাকিরা সিপিএম সমর্থক। মামলার সরকারি আইনজীবী নীরেন চৌধুরী বলেন, “সাজাপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে ওই দম্পতিকে খুঁটিতে বেঁধে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে।” সাজাপ্রাপ্তদের আইনজীবী পার্থপ্রতীম সেনগুপ্ত বলেন, “আমরা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন জানাব।” পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯০ সালে ৩০ এপ্রিল দিনহাটা থানা এলাকার বুড়িরহাট-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মধুপুর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা রোহিনী বর্মন ও তার স্ত্রী পদ্মিনী বর্মনকে বাড়িতে ঢুকে বেঁধে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়। ওই দম্পতির ছেলে অতুল বর্মনের সঙ্গে এলাকার কয়েকজন সিপিএম নেতার বিবাদ ছিল। বিষয়টি নিয়ে গোলমাল চলছিল। সাজাপ্রাপ্তরা অতুলের খোঁজে তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়ে অতুলকে না পেয়ে তাঁর বাবা-মাকে পুড়িয়ে মারে বলে অভিযোগ। নিম্ন আদালতে রায় অতুলবাবুদের বিপক্ষে যায়। তাঁরা উচ্চ আদালতে যান। পুনরায় মামলা শুরু হয়। সেই মামলার ভিত্তিতেই এদিন সাজা ঘোষণা হয়। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বেনুবাদল চক্রবর্তী বলেন, “আইনজীবিদের সঙ্গে কথা বলে উচ্চ আদালতে যাব।” একই ভাবে ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহ বলেন, “নিম্ন আদালতে খালাস হওয়ার পরে হেমেল ও মকবুল দলে যোগ দেন। দলে বিষয়টি আলোচনা করে হাইকোর্টে আবেদন জানানোর সিদ্ধান্ত হবে।”

সীমান্তে আটক দুই
মায়ানমারের বাসিন্দা দুই ব্যক্তিকে সীমান্ত পেরনোর সময় আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিল বিএসএফ। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ থানা এলাকায়। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম রসিক আহমেদ ও মহম্মদ সালিম। তাদের বাড়ি মায়ানমারের মান্ডু জেলার নুপরু থানা এলাকায়। চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার সময় বিএসএফ তাদের ধরে ফেলে। পরে দু’জনকেই মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানতে পেরেছে, মোটা টাকার চাকরির প্রলোভনে মায়ানমারের নাগরিক ওই দুই ব্যাক্তি একটি চক্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ হয়ে ভুটানে পাড়ি দিয়েছিলেন। কিন্তু চাকরি না পেয়ে তারা দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। চ্যাংরাবান্ধা হয়ে বাংলাদেশ দিয়ে তারা মায়ানমারে ফেরার ছক কষে ছিলেন। এদিন বিএসএফ তাদের আটক করে।

যাত্রী সুবিধা
ছবি: রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়।
হলদিবাড়ি এবং জলপাইগুড়ির যাত্রীদের সুবিধার জন্য দার্জিলিং মেলের সঙ্গে একটি নতুন বাতানুকূল কামরা জোড়া হল। মঙ্গলবার সেটি হলদিবাড়িগামী প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়। এত দিন দুটি স্লিপার ক্লাসের কামরা এবং একটি বাতানুকূল কামরা ছিল। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের নিউ জলপাইগুড়ি এরিয়া ম্যানেজার পার্থ শীল বলেন, “হলদিবাড়ি ও জলপাইগুড়ির যাত্রী টিকিট কেটে শিয়ালদহ যেতে পারবেন।”

কমিটি ভাঙল
মহকুমা ও ব্লক কমিটি ভেঙে দিল জেলা টিএমসিপি’র কোচবিহার জেলা কমিটি। বুধবার সংগঠেনর জেলা সভাপতি সাবির সাহাচৌধুরী এ কথা জানান। সংগঠন সূত্রের খবর, কোচবিহার শহরের কোনও কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনেই টিএমসিপি সাফল্য পায়নি। অপরদিকে কলেজ নির্বাচনে মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জ সহ ভাল ফল হওয়া কয়েকটি এলাকায় গোষ্ঠী কোন্দল মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি সামলাতেই তাই সমস্ত কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন করে সংগঠন ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টিএমসিপির কোচবিহার জেলা সভাপতি বলেন, “শীঘ্রই নয়া কমিটি গড়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।”

বিজেপি’র বিক্ষোভ
সারের কালোবাজারি-সহ একাধিক দাবিতে কোচবিহারের ৮টি এলাকায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। বিজেপির কোচবিহার জেলা সম্পাদক নিখিল দে বলেন, “রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশেই ওই কর্মসূচি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.