প্রতিপক্ষ না-থাকায় চাঁচল কলেজের ২৮টি আসনের সব কটিতেই বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় ছাত্র পরিষদের প্রার্থীদের জয়ী বলে ঘোষণা করেছিলেন কর্তৃপক্ষ। কলকাতা হাইকোর্টে ওই ভোট প্রক্রিয়া বৈধ কি না তা নিয়ে মামলা দায়ের হয়। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপেন সেন ১৫ মার্চ পর্যন্ত ভোট গ্রহণ স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। চাঁচল কলেজ বর্তমানে প্রশাসকের অধীনে। ১৫ ফেব্রুয়ারী ছিল মনোনয়ন পত্র তোলার দিন। ওই দিনই ছাত্র পরিষদকে জয়ী বলে শংসাপত্র দেওয়া হয়। তৃণমূল নির্বাচন প্রক্রিয়াকে অবৈধ বলে আদালতের দ্বারস্থ হয়। জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি অম্লান ভাদুড়ি বলেন, “বর্তমান প্রশাসক আদালতের নির্দেশ মানেননি। আদালতের রায়ে বর্তমানে টিচার ইনচার্জ অনিতা দেবীকে দায়িত্ব না দিয়ে যেভাবে কলেজে নির্বাচন হয়েছে তা অবৈধ। তাই নির্বাচনে অংশ নিইনি। বৈধভাবে নির্বাচন হলে লড়ব।” কলেজের প্রশাসক প্রাণতোষ সেন বলেছেন, “ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানানো হয়েছে।” কী ভাবে ছাত্র সংসদ হবে? প্রাণতোষবাবুর যুক্তি, “ওখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। ফলে শংসাপত্র দিতে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে এমন কথা নেই। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর তা তোলার দিন যদি দেখা যায় যে প্রতিদ্বন্দ্বী নেই তা হলে বাকিদের জয়ী ঘোষণা করে শংসাপত্র দিতে বাধা নেই।” ছাত্র পরিষদ নেতা সৌরভ চক্রবর্তী জানান, তাঁরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন। টিচার ইনচার্জ নিয়ে দ্বন্দ্ব তাঁদের দেখার কথা নয় বলে তাঁর দাবি। গত বছর নভেম্বরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা অনিতা চক্রবর্তীকে সরিয়ে ওই পদে বসানো হয় কলেজেরই শিক্ষক গাহুল আমিনকে। তাঁকে অবৈধ ভাবে প্রশাসক প্রাণতোষবাবু অপসারণ করেছেন, এই অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হন অনিতাদেবী। ওই মাসেরই ২৫ তারিখে অনিতাদেবীর পক্ষে আদালত রায় দেয়, ওই রায় না মানায় অবমাননার অভিযোগে অনিতাদেবী ফের আদালতের যান। তার পর গাহুল আমিনকে সরানোর নির্দেশ দেয় আদালত। ২৯ ফেব্রুয়ারী প্রশাসক ও অপসারিত গাহুল আমিনকে আদালতে হাজির হওয়ারও নির্দেশ দেন বিচারপতি অনিতাদেবীর অভিয়োগ, “আমি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষার পদ ফিরে পেলেও আমাকে ঘরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। গাহুল আমিন অবৈধ ভাবে কলেজের কাজ চালাচ্ছেন। নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাই হয়েছে।” টিচার ইনচার্জ পদে থাকা গাহুল আমিন বলেন, “পুরোটাই প্রশাসকের ব্যাপার। তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী কাজ হয়েছে।” |