এক মহিলা ও তার আত্মীয়দের মারধরের পরে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় জড়িয়ে গিয়েছে এলাকার একটি ক্লাবের নাম। ১৫ ফেব্রুয়ারি মালদহের ইংরেজবাজার থানার বাঁশবাড়ি এলাকায় ঘটনাটি ঘটলেও পুলিশ মামলা রুজু করেনি বলে অভিযোগ। অভিযোগকারিণী সবিতা গঙ্গোপাধ্যায় ঘটনাটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমাকে বাড়ি থেকে তাড়াতে ষড়যন্ত্র হয়েছে। পুলিশে অভিযোগ জানালেও ব্যবস্থা নেয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছি।” মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “ওই মহিলার অভিযোগ খতিয়ে দেখে মামলা রুজুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ |
পুলিশ জানায়, সবিতা দেবী দিদি শিপ্রা দেবীর বাড়িতে থাকতেন। বছর চারেক আগে শিপ্রা দেবীর বিরুদ্ধে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করে তাঁর স্বামী দানবেন্দ্রবাবু চাঁচলের বাড়িতে চলে যান। বাঁশবাড়ির ওই বাড়ির একটি অংশ শিপ্রাদেবীর নামেই লিখে দিয়েছিলেন তাঁর বাবা-মা। শিপ্রা দেবী অসুস্থ হলে তাঁর দেখাশোনা করতে যান সবিতা দেবী। সবিতা দেবীর দাবি, কিছু দিন আগে শিপ্রা দেবী তাঁর নামে ওই বাড়িটি দানপত্র করে দেন। ৮ ফেব্রুয়ারি শিপ্রাদেবীর মৃত্যু হয়। ১৫ ফেব্রুয়ারি বাঁশবাড়ির বাড়িতে দিদির শ্রাদ্ধ করাচ্ছিলেন সবিতা দেবী। তাঁর অভিযোগ, “শ্রাদ্ধানুষ্ঠান চলছিল। হঠাৎ এলাকার ক্লাবের ৫০-৬০ জন চড়াও হয়ে আমাকে ও অন্য দিদি-জামাইবাবুদের মারধর শুরু করেন। পুলিশকে জানাই। পুলিশ আসে। পুলিশ কিছু বলেনি। আমরা থানায় অভিযোগ করলেও কাজ হয়নি।” ওই ক্লাবের সম্পাদক দীপ্তি সেন বলেন, “আমাদের ক্লাবের কোন ছেলে ওই মহিলাকে মারধর করেনি। ওই মহিলাই জামাইবাবুর বাড়ি দখল করে ছিলেন বলে অভিযোগ। প্রতিবেশীরাই ওই মহিলাকে বাড়ি থেকে বের করে তাড়িয়ে দিয়েছেন।” |