টালিগঞ্জের এমআর বাঙুর হাসপাতাল ‘দূরবর্তী’ এলাকায়, অথচ হিঙ্গলগঞ্জ বা সন্দেশখালির হাসপাতাল তা নয়! বাঘা যতীন, বিদ্যাসাগর হাসপাতাল দুর্গম-দূরবর্তী এলাকায়, কিন্তু জামুরিয়া, নকশালবাড়ি, খানাকুল, তেহট্টের হাসপাতাল নয়!
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর চিহ্নিত ‘দুর্গম’ তথা ‘দূরবর্তী’ এলাকার তালিকা নিয়ে আগেই বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল সরকারি চিকিৎসকদের মধ্যে। ৭০ জন সরকারি চিকিৎসক এ ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন। প্রধান বিচারপতি জে এন পটেল ও বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে দু’দিন এই মামলার শুনানিও হয়েছে। সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছে, যে চিকিৎসক ‘দুর্গম ও দূরবর্তী’ গ্রামে যাবেন এবং তিন বছর থাকবেন তাঁরা মেডিক্যালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় এন্ট্রান্সে অতিরিক্ত ৩০ শতাংশ নম্বর পাবেন। অর্থাৎ, কোনও চিকিৎসক যদি ভর্তির পরীক্ষায় ১০০ নম্বর পান তা হলে তাঁকে দেওয়া হবে ১৩০। কিন্তু যে অঞ্চলগুলিকে দুর্গম বলা হয়েছে তা নিয়েই গোলমাল বেধেছে।
স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া চিকিৎসকদের আইনজীবী রাজর্ষি হালদার বুধবার বলেন, বাঙুর, বাঘা যতীন, বিজয়গড়, যাদবপুর, বিদ্যাসাগর, বহরমপুর সদর, মেদিনীপুর সদর এই সব হাসপাতালই দুর্গম এলাকায়, কিন্তু সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, মিনাখাঁ, তেহট্ট, করিমপুর, খানাকুল, গোঘাট, কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট, উখড়া, জামুরিয়া, ফাঁসিদেওয়া, নকশালবাড়ির মতো সত্যিকারের দুর্গম এলাকার হাসপাতালগুলি তালিকার বাইরে। এটা তো অদ্ভুত কাণ্ড! সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, বাঘা যতীন হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক মেডিক্যালের স্নাতকোত্তরে এন্ট্রান্সে অতিরিক্ত ৩০ শতাংশ নম্বর পাবেন। কিন্তু হিঙ্গলগঞ্জ বা করিমপুর হাসপাতালের এক জন চিকিৎসক তা পাবেন না। এটা অনেক চিকিৎসকই মানতে পারছেন না বলে স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ জানিয়েছেন। ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার দু ’দিন শুনানি হয়েছে। তবে সরকার পক্ষের বক্তব্য পেশের সময় এখনও আসেনি। |