মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্পাসেই গড়ে উঠতে চলেছে এমপ্লয়িজ স্টেট ইনসুরেন্স কর্পোরেশন (ইএসআই)-এর হাসপাতাল। বুধবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবকে সঙ্গে নিয়ে মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্পাসে প্রস্তাবিত ওই হাসপাতালের জন্য জমি দেখেন ইএসআই কর্তৃপক্ষ। সব কিছু ঠিক থাকলে প্রায় ১০০ কোটি টাকা খরচ করে ১০০শয্যার হাসপাতাল গড়ে তুলবেন তাঁরা। সংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকেরা সেখানে নিখরচায় চিকিৎসার সুযোগ পাবেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার পরিকাঠামো রয়েছে। সেই পরিকাঠামোর আরও উন্নয়ন হবে। সে কারণে মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন ইএসআই হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসেই গড়ে উঠুক। সেই উদ্দেশ্যে এ দিন ইএসআই কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাস ঘুরে জমি দেখেন। তাঁদের জায়গা পছন্দও হয়েছে। ওই হাসপাতাল গড়তে তুলতে তাদের ৫ একর জমি দেওয়া হবে।” এ দিন ইএসআই-এর তরফে রাজ্য ডিরেক্টর দেবীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়, সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার দেবাশিস চৌধুরী, সিনিয়র স্টেট মেডিক্যাল কমিশনার সমীর কুমার চৌধুরী, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার রিজিওনাল ডিরেক্টর গোবিন্দ চন্দ জেনা, দিল্লিতে কর্মরত নির্বাহী বাস্তুকার ডি কে গৃহত্রী-সহ ১০ জন প্রতিনিধি প্রস্তাবিত হাসপাতালের জায়গা ঘুরে দেখেন। |
তাঁরা জানান, জমি পেলে ২ বছরের মধ্যে এই হাসপাতাল গড়ে তুলবেন। ২০০২ সালে শিলিগুড়ি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটে ইএসআই-এর একটি ক্লিনিক চালু হয়েছে। সম্প্রতি মাটিগাড়াতে ১০ শয্যার একটি অবজারভেশন ইউনিট তাঁরা গড়ে তুলেছেন। শীঘ্রই তা চালু করা হবে। পরবর্তীতে জলপাইগুড়ি-সহ বেশ কিছু জায়গায় ক্লিনিক চালু করার ভাবনা রয়েছে। রাজ্যে ইতিমধ্যেই ১৩ টি হাসপাতাল তারা গড়েছেন। তবে উত্তরবঙ্গে এ ধরনের হাসপাতাল প্রথম। সে ক্ষেত্রে সংগঠিত ক্ষেত্রের প্রচুর শ্রমিক উপকৃত হবেন। এত দিন ইএসআই-এর তরফে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি কেন? সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার দেবাশিসবাবু বলেন, “নিয়ম মতো অন্তত ইএসআই স্বাস্থ্য বিমার অধীনে কোনও বিশেষ এলাকায় ২৫ হাজার শ্রমিক না-থাকলে সেখানে হাসপাতাল গড়া হয় না। এত দিন তা ছিল না। তবে বর্তমানে সিকিমের শ্রমিকেরা ইএসআই-এর উত্তরবঙ্গ আঞ্চলিক শাখার অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন। তা ছাড়া শিলিগুড়িতে এখন ইএসআই বিমার অধীনে থাকা শ্রমিকের সংখ্যা ১৮০০ হাজার। আশেপাশের জেলা মিলিয়ে সংখ্যাটা ২৫ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। সে কারণেই হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।” এত দিন তাই বিভিন্ন নার্সিংহোমের সঙ্গে ইএসআই কর্তৃপক্ষ চুক্তি করে বিমার অধীনে শ্রমিকদের চিকিৎসা পরিষেবা দিত। তবে হাসপাতাল হলে তাঁরা উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন বলে তাঁরা আশাবাদী। |