|
|
|
|
লক্ষাধিক টাকা লুঠ মাটিগাড়ায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
গভীর রাতে দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লক্ষাধিক টাকার জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়েছে একদল দুষ্কৃতী। মঙ্গলবার রাত দেড়টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে মাটিগাড়া থানার কলমজোত এলাকায়। পুলিশ জানায়, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী যতীন্দ্রনাথ পালের বাড়িতে ডাকাতি হয়। দুষ্কৃতীরা আলমারি ভেঙে ৬০ হাজার টাকা এবং বেশ কিছু সোনার অলঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, কয়েকদিন ধরেই ওই দুষ্কৃতী দলটি কাওয়াখালিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। গত একমাসের মধ্যে কয়েকটি চুরির ঘটনাও ঘটেছে সেখানে। ঘটনার তদন্তে এদিন কলমজোতে যান শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি। তিনি বলেন, “ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। দ্রুত সূত্র মিলবে বলে আশা করছি।” যতীন্দ্রনাথবাবুর বড় ছেলে পল্টনবাবু জানান, রাত ১০টা নাগাদ বাড়ির সামনে রাস্তায় ১০ জন লোক ঘোরাফেরা করছিল। কারা ঘুরছেন, খোঁজ নিতে পল্টনের মা খুকুমনি দেবী দরজা খুলে বাইরে বেরোন। তিনি ওই দুষ্কৃতী দলের সদস্যদের সেখানে দাঁড়িয়ে থাকার কারণ জানতে চান। তাদের অসংলগ্ন কথা শুনে খুকুমনি দেবী বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। সে সময়ই দুষ্কৃতীরা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে লুঠ শুরু করে। ভয়ে যতীন্দ্রনাথবাবুর দুই ছেলে পল্টন ও উত্তম বাড়ির পেছন দিকের পাঁচিল টপকে পালিয়ে যান। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে দুষ্কৃতীরা যতীন্দ্রনাথবাবু ও তাঁর স্ত্রীকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে চুপ করে থাকতে বলেন। পর পর দুটি ঘরে ঢুকে তারা লুঠ করে। আলমারি ভেঙে নগদ টাকা ও সোনা লুঠ করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির সামনে যতীন্দ্রনাথবাবুর একটি মুদির দোকান রয়েছে। তাঁর বড় ছেলে একটি অর্থ লগ্নিকারী সংস্থার হয়ে কাজ করেন। পল্টন বলেন, “মুদির দোকানের কিছু টাকা এবং বাজার থেকে তোলা লগ্নির কিছু টাকা মিলে প্রায় ৬০ হাজার বাড়ির আলমারিতে রাখা ছিল। এ ছাড়া কিছু সোনার অলঙ্কার ছিল সেখানে। আলমারি ভেঙে সব নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা।” এলাকার বাসিন্দারা জানান, ওই রাতে দুষ্কৃতী দলটি আরও দুটি বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা করেন। এ ছাড়াও গত দুই মাসের মধ্যে কাওয়াখালিতে বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। গ্রিল ভেঙে মোটরবাইক চুরির ঘটনাও ঘটেছে। পুলিশ দুষ্কৃতীদের ধরতে পারেনি বলে অভিযোগ। পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, প্রতিদিনের মতো রাতে পুলিশের টহলদারি ভ্যান কাওয়াখালিতে ছিল। ভ্যান যে সময় মেডিক্যালের দিকে ছিল, ঠিক সে সময়ই কলমজোতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনার কিছুক্ষণ পরে তারা ওই এলাকায় যান। |
|
|
|
|
|