|
|
|
|
পুরসভা চায় ময়নাগুড়ি |
রাজনীতির বাইরে জোট গড়ছে শহর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়নাগুড়ি |
‘গেটওয়ে অব ডুয়ার্স’ হিসেবে পরিচিত ময়নাগুড়ির হারানো গৌরব উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার দাবিতে জোট বাঁধলেন প্রবীণ নাগরিকদের একাংশ। শনিবার কনভেনশন করে উন্নয়নের বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলনের জন্য নাগরিক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। উদ্যোক্তাদের দাবি, দলীয় রাজনীতির বাইরে থেকে ওই কমিটি পুরসভা সহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দেলন পরিচালনা করবে। প্রবীণরা প্রচারপত্র বিলি করে তাঁদের ভাবনা ময়নাগুড়ির বাসিন্দাদের জানাতে উদ্যোগী হন। বেঙ্গল ডুয়ার্স রেলের সদর দফতর ময়নাগুড়ির দোমহনি এলাকায় গড়ে উঠেছে। রয়েছে জল্পেশ, জটিলেশ্বর, বটেশ্বর কিংবা ভদ্রেশ্বর, পেটকাটি, সদরখই-র মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান সমৃদ্ধ এলাকা। ময়নাগুড়ি গরুমারা জঙ্গলের কোলে অবস্থিত হওয়ায় জৈব বৈচিত্র্য এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা। কিন্তু এত কিছু থেকেও জনপদটি ধুঁকছে। কারণ, স্বাধীনতার পর থেকে এলাকা উন্নয়নে পরিকল্পনা গ্রহণের দৈন্যতা স্পষ্ট। প্রবীণ নাগরিকরা তাই মনে করছেন হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন ছাড়া পথ খোলা নেই। আন্দোলন যে আমজনতার হওয়া জরুরি তা জানেন উদ্যোক্তা নৃপেন্দ্রনারায়ণ চক্রবর্তী, অপূর্ব কুমার চট্টোপাধ্যায়, মিহির কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, চিত্তরঞ্জন চক্রবর্তী, প্রিয়কুসুম চক্রবর্তী প্রমুখ। তাই তাঁরা বিশদে সমস্যার কথা আলোচনা করে ‘নাগরিক কমিটি’ নামে এমন মঞ্চ গড়ে নিতে চান যেখানে দলীয় পরিচয় গুরুত্ব পাবে না। প্রত্যেকে ময়নাগুড়ি উন্নয়নের কথা ভাবার সুযোগ পাবেন। প্রিয়কুসুমবাবুরা জানান, দৈন্যতার মধ্যেও সম্প্রতি কয়েক বছরের মধ্যে দ্বিতীয় জরদা সেতু, উদ্যান, কলেজ, কমিউনিটি হল নির্মাণের মধ্য দিয়ে উন্নয়নের মন্দা দশা কাটতে শুরু করেছে। দমকল কেন্দ্র, পলিটেকনিক ও আইটিআই কলেজ স্থাপনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। স্টেডিয়াম তৈরির জন্যও সংশ্লিষ্ট দফতরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ১৯৫২ সালে তৈরি উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের ময়নাগুড়ি ডিপো তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের ঘটনা দেখে তাঁরা আতঙ্কিত। অন্য প্রকল্পগুলি আদৌ হবে কিনা সেই বিষয়ে সংশয়ে ভুগছেন। নৃপেন্দ্রনারায়ণবাবু বলেন, “এক বছর আগে আইটিআই কলেজের শিলান্যাস করে অর্থ মঞ্জুর করা হয়েছে। কিন্তু বুঝতে পারছি না সেটা আদৌ হবে কিনা।” পলিটেকনিক কলেজের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রবীণরা সন্দিহান। শুধু তাই নয়। তাঁরা জানান, দমকল কেন্দ্র তৈরির কাজ অনেকটা এগিয়ে যাওয়ার পরে থমকে দাঁড়িয়েছে। কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দের পরেও নতুন বাজার এলাকায় অত্যাধুনিক বিপণন কেন্দ্র তৈরির কাজ শুরু হয়নি।একই ভাবে আটকে আছে নতুন বাজারে ফলের বাজার তৈরির কাজ। শনিবার নাগরিক কনভেনশনে ওই সমস্ত তথ্য সাধারণের সামনে তুলে ধরতে চান প্রবীণরা। সেই সঙ্গে তাঁরা জানাবেন কেন ময়নাগুড়িকে পুরসভা ঘোষণা করা জরুরি। শনিবার বিভিন্ন মহল থেকে কনভেনশনে উপস্থিত বাসিন্দারা ওই সমস্ত তথ্য ও দাবি বিশ্লেষণ করে আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করবেন এমনটাই দাবি উদ্যোক্তাদের। |
|
|
|
|
|