এক কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনার তদন্তে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুললেন তার পরিবারের লোকজন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতা থানার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফলতার সুজাগলপুর গ্রামের সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া ওই কিশোরী গত ১২ জানুয়ারি গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি। পরের দিন থানায় ওই কিশোরীর পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। গত ২২ জানুয়ারি মেয়েটিকে পুলিশ উদ্ধার করে। তার পর থেকে সে অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে ছিল। গত সোমবার রাতে কিশোরীকে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালের সুপার চিরঞ্জিৎ মুর্মু বলেন, “ওই কিশোরীকে পরীক্ষার পরে দেখা যায়, সে অন্তঃসত্ত্বা। তবে তার আরও কয়েকটি পরীক্ষা করা হবে।”
কিশোরীর বাড়ির লোকের অভিযোগ, নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ মেয়েটিকে খুঁজতে সদর্থক ভূমিকা নেয়নি। অপহরণকারীরাই তাকে ফলতার সহরারহাট বাজারে ছেড়ে দিয়ে যায়। কিশোরীর বাবার বক্তব্য, “পুলিশের ভূমিকায় সন্তুষ্ট না হওয়ায় তখন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। আদালতের নির্দেশে পুলিশ তদন্তে নামে।”
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ফলতা থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিশোরীর বাবার অভিযোগ, “প্রতিবেশী পাঁচ যুবক এবং দুই মহিলা আমার মেয়েকে অপহরণ করে। ওই পাঁচ যুবক ওকে ধর্ষণ করে। পুলিশ তদন্তে নামলেও এখনও দোষীরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ, ওদের হুমকিতে আমরাই গ্রামছাড়া হতে বাধ্য হয়েছি।”দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা অবশ্য বলেন, “পুলিশই ওই মেয়েটিকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিল। তার পর ১৭ ফেব্রুয়ারি পরিবারের তরফে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই মতো তদন্তও শুরু হয়েছে। তদন্তে কোনও রকম গাফিলতি নেই। ডিএসপি ফলতা পাপিয়া সুলতানাকে তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে।” ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তেরা পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ। |