ভাগীরথীর জল কমে যাওয়ায় বেশ বড় এলাকা জুড়ে বিঘ্নিত হচ্ছে নৌকা চলাচল। বেলডাঙার কুমারপুর ঘাট ও বহরমপুরের সাটুই ঘাটের মাঝখানে রীতিমতো চড়া পড়ে গিয়েছে। ফলে একই নদী দুভাগে পারাপার করতে হচ্ছে। বেলডাঙার কুমারপুর ঘাট থেকে প্রথমে নৌকা চড়ে নদীর মাঝখানে চড়ায় পৌছে প্রায় আধ কিমি হেঁটে তারপর আবার অন্য নৌকায় চড়ে পৌছতে হচ্ছে সাটুই ঘাটে। অসুবিধায় পড়ছেন নিত্যযাত্রী থেকে রোগী, শিশু সকলেই। এখানে ভাগীরথীর একপাড়ে বেলডাঙা শহর, শিয়ালদহ-লালগোলা রেলপথ, অন্য পাড়ে কাটোয়া-আজিমগঞ্জ রেল পথ। ফলে নিরুপায় হয়েই ওই গুরত্বপূর্ণ জলপথ অতিক্রম করতে হচ্ছে যাত্রীদের। এমনকী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদেরও যাতায়াত এভাবেই যাতায়াত করতে হয়েছে আগের বছরগুলোতে। তাদের আশঙ্কা এ বছরও এভাবেই যাতায়াত করতে হবে। |
বহরমপুরে দাঁড়িয়ে পড়েছে মালবাহী ভারী জলযান। নিজস্ব চিত্র। |
আরও সমস্যা ঘাটে যথাযথ আলোর ব্যবস্থাও নেই। সাটুই ঘাটে জল না থাকায় সমস্ত নৌকা ঘাটেই দাঁড়িয়ে আছে। ফলে অনেক মাঝিই কর্মহারা। এলাকাবাসীদের গঙ্গায় স্নান করতে নৌকা করে কুমারপুর ঘাটে আসতে হচ্ছে।
শুধু তাই নয় জল কমে যাওয়ায় চড়া পড়েছে রেজিনগরের নারকেলবাড়ি ঘাট থেকে শক্তিপুরের ঘাটেও। এই দুই চড়া পেরিয়ে প্রায় দেড় কিমি রাস্তা অতিক্রম করে পৌছতে হচ্ছে গন্তব্যে। সুজাপুর-কুমারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কংগ্রেসের সফিকুর রহমান বলেন, “পঞ্চায়েত থেকেই দেখা যাচ্ছে চড়া। নৌকা চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। সমস্যা হচ্ছে সকলেরই।” বেলডাঙা-২ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য সুনির্মল ঘোষাল বলেন, “নদীতে চড়া পড়ায় নৌকা চালাতে হচ্ছে প্রায় দেড় কিমি অতিরিক্ত ঘুরে। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সমস্যা হবে।”
তবে নতুন জেগে ওঠা ওই চড়া গ্রামবাসীদের বেড়ানোরও জায়গা হয়ে উঠেছে। অনেকেই বিকেলে সময় কাটাতে যাচ্ছেন সেখানে। |