কপিল দেবের পর এ বার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও প্রশ্ন তুললেন এক দিনের দলে সচিন তেন্ডুলকরের ভবিষ্যৎ নিয়ে। সচিনের সবথেকে সফল ওয়ান ডে ওপেনিং সঙ্গী সাফ বলছেন, “সচিনের উচিত নিজেকে প্রশ্ন করা যে, ও এখনও ওয়ান ডে ক্রিকেটের এই ধকল নেওয়ার উপযুক্ত কি না। এই যে ও আট-ন’মাস বাদে বাদে এক একটা ওয়ান ডে টুর্নামেন্ট খেলছে এতে ওর কোনও উপকার হচ্ছে কি না। টিমের কোনও উপকার হচ্ছে কি না। যদি এ সব প্রশ্নের কোনও উত্তর ও না পায় তা হলে সচিন তেন্ডুলকরকে যেতে হবে।”
কপিল গত কালই বলেছিলেন, বিশ্বকাপ জেতার পরই সচিনের উচিত ছিল এক দিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া। একটি টিভি চ্যানেলে সৌরভ অবশ্য এটাও বলেছেন যে, সচিন ওয়ান ডে থেকে সরে দাঁড়াবেন কি না সেই সিদ্ধান্ত সচিনের হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত। “ভারতীয় ক্রিকেটে সচিন তেন্ডুলকরের যা অবদান, তা আর কারও নেই। আমার মনে হয় কবে ও ওয়ান ডে ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়াবে বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেবে সেই সিদ্ধান্ত ওর হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত। একমাত্র সচিনই ঠিক করতে পারে কবে ও সরে যাবে। আমার মনে হয় না নির্বাচকদের কারও অধিকার আছে সচিনকে এ নিয়ে প্রশ্ন করার।” |
সুনীল গাওস্কর আবার মনে করছেন, নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত-ই এই কাজটা করতে পারেন। “আমার মনে হয় শ্রীকান্ত এটা করতে পারবে। ও সচিনের প্রথম ক্যাপ্টেন ছিল। সচিন ওর অধীনেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটিয়েছে। এখন ও নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান। ওর কমিটি যদি মনে করে সচিনের কোনও ওয়ান ডে ভবিষ্যৎ নেই তা হলে শ্রীকান্তই সচিনকে গিয়ে সেই কথাটা বলার জন্য আদর্শ লোক,” একটি টিভি চ্যানেলে বলেছেন গাওস্কর। কথাবার্তা থেকে পরিষ্কার, সানিও সচিনের ওয়ান ডে ভবিষ্যৎ বিশেষ দেখছেন না। |
আমার মনে হয় শ্রীকান্ত গিয়ে সচিনের সঙ্গে কথা বলুক: গাওস্কর |
|
এ দিকে, কপিল দেব এ দিন দিল্লিতে বলেছেন, ভারতীয় দলের মধ্যে ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে তিনি মনে করেন না। তাঁর মনে হচ্ছে, মতান্তর রয়েছে। তবে তিনি ভারতীয় বোর্ডের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, উদ্ভূত সমস্যা মেটানোর জন্য তারা হস্তক্ষেপ করুক। “অধিনায়কের এক রকম মত থাকতে পারে। সাধারণ নিয়ম হচ্ছে, সেই মতকে সবাই সম্মান করবে। আমার মনে হয় বোর্ডের উচিত এগিয়ে এসে এই সমস্যা মেটানো। আমাদের ক্রিকেটারদের বোঝা দরকার যে, তাদের সঙ্গে দেশের সম্মানও জড়িত। ওরা দেশের হয়ে খেলছে। কোনও ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকলে সেটা দূর করা দরকার,” দিল্লিতে অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনে খুদেদের ক্রিকেট ক্লিনিকে এসে বলেন কপিল। সঙ্গে যোগ করছেন, “অভিভাবকদের মধ্যেও মতান্তর ঘটতে পারে। এটা নিয়ে এত হইচই করার কিছু নেই। কিন্তু বোর্ডের উচিত অস্ট্রেলিয়া সফরের পর নির্বাচকদের নিয়ে বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধান করা। ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ রাস্তা কী হওয়া উচিত সেই বৈঠকেই ওরা ঠিক করুক। তাতে যদি মনে হয় সিনিয়র প্লেয়াররা থাকলে ভাল তা হলে থাকুক। যদি মনে হয় যাওয়ার সময় হয়েছে তা হলে সিনিয়র প্লেয়ারদের সেটা বুঝতে হবে।” |