নিজস্ব সংবাদদাতা • পান্ডুয়া |
আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে একটি গ্রামীণ ব্যাঙ্কের কর্মী এবং গ্রাহকদের ঘরে আটকে রেখে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা লুঠ করে পালাল দুষ্কৃতীরা।
বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পাণ্ডুয়ার সিমলাগড় এলাকায়। জেলা পুলিশের পদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে যান। হুগলির পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী বলেন, “দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। তবে ওই ব্যাঙ্কে নূন্যতম নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। পুলিশের তরফে তিন মাস আগে লিখিত ভাবে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে কিছু ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু তা হয়নি।”
জেলা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন দুপুর ৩টে নাগাদ দু’টি মোটর বাইকে চড়ে ছ’জন দুষ্কৃতী ওই ব্যাঙ্কে হানা দেয়। সে সময়ে ব্যাঙ্কে কয়েক জন গ্রাহক ছিলেন। দুষ্কৃতীদের দু’জন নজর রাখে বাইরে দাঁড়িয়ে। বাকিরা ভিতরে ঢোকে। আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে একটি গ্রাহক এবং ব্যাঙ্কের সমস্ত কর্মীকে একটি ঘরে আটকে দেয়। পুলিশকে কেউ যাতে ফোন না করতে পারেন সে জন্য আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এরপরে দুষ্কৃতীরা ব্যাঙ্কের ম্যানেজার শেখ জালালউদ্দিনের থেকে ভল্টের চাবি কেড়ে নেয়। নিজেরাই ভল্টের চাবি খুলে ব্যাঙ্কের টাকা একটি ব্যাগে বোঝাই করে। যাওয়ার আগে দুষ্কৃতীরা ব্যাঙ্কের গেট বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়ে যায়।
কার্যত কোনও প্রতিরোধ ছাড়াই নিরাপদে গা-ঢাকা দেয় দুষ্কৃতীরা। তারা চলে গিয়েছে বুঝতে পেরে ব্যাঙ্কের ভিতরে আটকে পড়া কর্মী ও গ্রাহকেরা চিৎকার শুরু করেন। বাইরে থেকে লোকজন গিয়ে দরজা খুলে তাঁদের উদ্ধার করেন। খবর দেওয়া হয় পাণ্ডুয়া থানায়। এরপর পাণ্ডুয়া থানার ওসি প্রদীপ দাঁ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। হুগলির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) অশেষ বিশ্বাস এবং অন্যান্য পুলিশ কর্তারা ওই গ্রামীণ ব্যাঙ্কে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন। তদন্তকারী অফিসারেরা জানিয়েছেন, মোট ৬ লক্ষ টাকা খোওয়া গিয়েছে। পুলিশ কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদাসীন। কার্যত কোনও নিরাপত্তাই ছিল না। তার সুযোগ নিয়েই দুষ্কৃতীরা লুঠপাট চালায়। |