নিজস্ব সংবাদদাতা • তারকেশ্বর |
ঘরছাড়া এক সিপিএম কর্মীর বাড়িতে তৃণমূল সমর্থকদের হামলা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল। তৃণমূলের স্থানীয় একটি অফিসেও আগুন লাগানো হয়।
মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে তারকেশ্বরের আস্তারা-দত্তপুর পঞ্চায়েতের দত্তপুর গ্রামে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, ওই দিন রাত ১টা নাগাদ বেশ কিছু তৃণমূল সমর্থক দিবাকর ঘোষ নামে এক সিপিএম সমর্থকের বাড়িতে চড়াও হয়। তিনি বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর বাড়িতে ভাঙচুরও চালান হয়। জেলা পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, “ওই বাড়িতে হামলা হলেও কাউকে মারধর করা হয়নি।” অভিযোগ, বুধবার সকালেও তৃণমূল সমর্থকেরা ওই গ্রামে মিছিল করে। সেই মিছিল থেকে ওই পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে হুমকি দেওয়া হয়।
অভিযোগ, স্থানীয় কয়েক জন তৃণমূল নেতার ‘হুমকি’তে দত্তপুর গ্রামে ফিরতে পারছিলেন না দিবাকরবাবু। তাঁর বৃদ্ধা মা অসুস্থ। তাঁকেও দেখতে আসতে পারছিলেন না তিনি। এমনই অভিযোগ তু্লে সম্প্রতি তারকেশ্বরের ওই ঘরছাড়া সিপিএম কর্মীকে অবিলম্বে গ্রামে ফেরানোর অনুরোধ জানিয়ে তাঁর পরিবারের তরফে চিঠিও দেওয়া হয় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে। গোটা বিষয়টি জানানো হয় পুলিশকেও। এরপরই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব নড়েচড়ে বসে। শেষ পর্যন্ত তাঁদের মধ্যস্থতায় ওই সিপিএম কর্মী বাড়িতে ফিরে আসেন। কিন্তু তিনি বাড়িতে ফিরে আসার পর ফের হুমকির অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। এরপর তিনি আবার গ্রাম থেকে চলে যান।
জেলা সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, গত ১৩ মে বিধানসভা ভোটের ফল বের হয়। ওই দিন বিকেল থেকেই তারকেশ্বরের আস্তারা-দত্তপুর পঞ্চায়েতের দত্তপুর গ্রামের সিপিএম কর্মী দিবাকর ঘোষকে হুমকি দেয় তৃণমূলের লোকেরা। বাড়িতে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। এর পর থেকেই তিনি ঘরছাড়া। দিবাকরবাবুর স্ত্রী রূপালি ঘোষ এ দিন বলেন, “স্বামী দীর্ঘদিন ঘরছাড়া ছিলেন। মা অসুস্থ। আবারও হুমকিতে বাড়ি ছাড়া হলেন স্বামী। তাতেও রেহাই নেই। ফের হামলা হল বাড়িতে।” স্থানীয় তৃণমূল নেতা আনন্দ ঘোষ অবশ্য বলেন,“ আমাদের পার্টি অফিসে আগুন দেওয়া হয়েছে। ওই সিপিএম কর্মীর বাড়িতে হামলার ঘটনার আমাদের কেউ জড়িত নন। সিপিএমের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই তাদের কর্মীর বাড়িতে হামলা হয়।” |