প্রবাসীর নাকে ঘুষি, থানাতেই জামিন স্যাফের
প্রবাসীর নাক ভেঙে পুলিশের ডেরায় যেতে হল পটৌডির নবাবকে। জামিনও পেয়ে গেলেন ঘণ্টা দু’য়েকের মধ্যেই।
কেন মারামারি? স্যাফের বিরুদ্ধে অভিযোগ, হইহল্লা থামাতে বলাতেই রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে ঘুঁষি চালান তিনি। স্যাফ এক বিবৃতিতে বলেছেন, “যা করেছি, শুধুই নিজেকে বাঁচাতে।..আমার জায়গায় যে কোনও ভদ্রলোক থাকলে একই কাজ করত।”

ইকবাল শর্মা
মঙ্গলবার গভীর রাতে বান্ধবী করিনা কপূরকে নিয়ে তাজ হোটেলের এক জাপানি রেস্তোরাঁয় ভোজ সারতে গিয়েছিলেন স্যাফ আলি খান। সঙ্গে ছিলেন করিনার দিদি করিশ্মা, অভিনেত্রী মালাইকা ও অমৃতা অরোরা এবং কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধু। পাশের টেবিলে সপরিবার নৈশভোজ সারছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী ইকবাল শর্মা। তাঁর অভিযোগ, স্যাফদের উল্লাস ক্রমশই বাড়তে থাকে। ইতস্তত না করে হোটেল কর্তৃপক্ষকে নিজের অসুবিধার কথা জানান ইকবাল। কিন্তু বার তিনেক বলার পরও কোনও লাভ হয়নি। কিছু না বলে ইকবাল নীচের তলায় চলে যাচ্ছিলেন। এমন সময় উল্টো দিক থেকে আসছিলেন স্যাফ। তিনিই সোজাসুজি প্রশ্ন করেন, “এত অভিযোগ করছেন কেন? এটা তো আর লাইব্রেরি নয়। শান্ত জায়গা খুঁজলে লাইব্রেরি চলে যান।”
ব্যস, এই শুরু। বাগবিতণ্ডা এসে থামল ইকবালের ভাঙা নাকে। তাজের জাপানি ভোজ ছেড়ে নবাবকে ছুটতে
হল আইনজীবীর চেম্বারে। আর সেখানেই স্যাফকে গ্রেফতার করল কোলাবা পুলিশ। স্যাফের তরফে বলা হচ্ছে, গণ্ডগোল বাধিয়েছিলেন ইকবালই। স্যাফের কথায়, “উনিই আমাদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন। উনিই প্রথম গায়ে হাত তোলেন।” এমনকী বান্ধবীদের সঙ্গে অভব্যতা করার অভিযোগও ইকবালের বিরুদ্ধে এনেছেন স্যাফ। এর আগেও তিনি একাধিক বার বিতর্কে জড়িয়েছেন। ২০০৮-এ পাটিয়ালায় এক চিত্রসাংবাদিকের সঙ্গে তাঁর ঝামেলা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। ৯৮’-এ রাজস্থানে কৃষ্ণসার হত্যাতেও নাম জড়িয়েছিল স্যাফের।
থানার পথে স্যাফ আলি খান। বুধবার। ছবি: পিটিআই
মঙ্গলবারে বিতণ্ডার পরে আহত ইকবালকে পরিবারের লোকেরাই স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। ফেরার পথে রাত আড়াইটে নাগাদ কোলাবা থানায় অভিযোগ জানান ইকবাল। এর পরেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৫ ও ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয় স্যাফ ও তাঁর বন্ধুবান্ধবদের বিরুদ্ধে। তত ক্ষণে মোবাইল বন্ধ করে দিয়েছেন স্যাফ। বান্দ্রার বাড়িতে গিয়ে তাঁকে না পেয়ে ফিরে যায় পুলিশ। ধরা যে তাঁকে দিতেই হবে, সেই হুঁশিয়ারিও দিয়ে আসে। এর পরেই বাড়ি থেকে সাদা মার্সিডিজে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় করিনাকে।
ঘণ্টা দু’য়েকের জেরা আর পনেরো হাজার টাকার বিনিময়ে জামিন পেয়ে যান স্যাফ ও তাঁর দুই বন্ধু। ধরা পড়ার পর স্যাফ ইকবালকেই দুষছেন। ইকবালের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন স্যাফ। “টিভিতে ওঁর যে মুখ দেখলাম, গত রাতের সঙ্গে তা মেলাতে পারছি না। উনি অত ভদ্র নন। আশা করি হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ হাতে এলে রহস্যের সমাধান হবে।” তবে হোটেলের সিসিটিভি থেকে ফুটেজ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.