|
|
|
|
বেহাল রাস্তা সংস্কারে দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
নামেই ঢালাই রাস্তা। কিন্তু বর্তমানে ওই রাস্তার উপর বালি মাটি পড়ে খুব শোচনীয় অবস্থা দাঁড়িয়েছে। বালি বা মাটির নীচে যে একটি পাকা রাস্তা রয়েছে তা ওই রাস্তার বেহাল অবস্থা দেখে কেউ বিশ্বাস করতে পারবেন না।
দুবরাজপুরের গোহালিয়াড়া পঞ্চায়েতের মেটেলা গ্রামে ঢোকার মূল রাস্তাটি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের এমনই অভিযোগ। তাঁদের আরও অভিযোগ, সারা বছরই ওই রাস্তার এই দুরাবস্থা বহাল থাকে। বর্ষাকালে তা চরম আকার নেয়। বর্ষার কাদা শুকিয়ে গেলে শুধু ৬-৮ ইঞ্চি পুরু বালির স্তর জমে থাকে ওই রাস্তায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই রাস্তার পাশে কোনও রকম নিকাশি নালার ব্যবস্থা না থাকার জন্য এই সমস্যা হচ্ছে। পঞ্চায়েত এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় হাজার পাঁচেক মানুষের বাস ওই গ্রামে। তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে ২০০৬ সালে দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতি প্রায় ১ কিমি দীর্ঘ রাস্তাটি তৈরি করে। রাস্তাটি দুবরাজপুর বক্রেশ্বর রাস্তার সংযোগস্থল থেকে মেটেলাগ্রামের ধর্মরাজ মন্দির পর্যন্ত গিয়েছে। |
|
বেহাল রাস্তা। দুবরাজপুর থেকে লোবা যাওয়ার পথে ছবিটি তুলেছেন দয়াল সেনগুপ্ত। |
দু’এক বছরের মধ্যেই রাস্তাটি মাটি বালির নিচে চাপা পড়ে যায়। ফলে যে দুর্ভোগ থেকে বাঁচতে গ্রামে ঢালাই রাস্তা তৈরি হল, তার সুফল থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে বলে ক্ষুব্ধ ওই গ্রামের মানুষ। স্থানীয় সঞ্জয় কুনুই, শ্যামল ছেত্রী, সাগরী বাউড়িদের অভিযোগ, “বর্ষাকালে এই রাস্থার উপর হাটু জল জমে। স্থানীয় পঞ্চায়েত দু’একবার বালি মাটি তুলেছিল। কিন্তু পাশে নিকাশী নালা না থাকায় সমস্যা একই থেকে গিয়েছে।” ওই রাস্তাটি ঘিরে স্থানীয় বাসিন্দাদের যে সমস্যা হয় তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন গোহালিয়াড়া পঞ্চায়েতের প্রধান। ওই পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান দিলীপ মাল বলেন, “বর্ষাকালে গ্রামের সমস্ত রাস্তার জল ওই রাস্তার উপর দিয়েই বয়ে যায়। শুধু তাই নয়, গ্রামের বেশ কয়েকটি পুকুরের উপচে পড়া জলও ওই রাস্তার উপর দিয়েই যায়। ফলে জলে বালি কাদামাটি বয়ে এসে ওই কংক্রিটের রাস্তার উপর পড়ে।” সমস্যা কী করে মেটানো যায় সেই বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করে প্রধান বলেন, “ওই রাস্তার পাশে স্থানাভাব থাকায় নিকাশি নালা তৈরি করা সহজ কাজ নয়। ওই রাস্তার পাশে নর্দমার ব্যবস্থা করতে গেলে পাশে থাকা বেশ কিছু বাড়ি ভাঙা পড়বে। যেটা করা সম্ভব নয়।” রাস্তা সংক্রান্ত সমস্যাটির কথা তিনি পঞ্চায়েত সমিতিকে জানাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। |
|
|
|
|
|