|
|
|
|
গৃহবধূর অপমৃত্যু, ধৃত স্বামী -শাশুড়ি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সাঁইথিয়া |
বধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে সাঁইথিয়ার রুদ্রনগর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই বধূর নাম শিখা ভল্লা (২৫ )। বাবা সুনীল ভল্লার অভিযোগের ভিত্তিতে শিখাদেবীর স্বামী বিকাশ ভল্লা ও শাশুড়ি গীতাদেবীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, বিকাশবাবুকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে বুধবার সিউড়ি আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ১৪ দিন জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন। আর শাশুড়ি গীতাদেবীকে বুধবার গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে সিউড়ি আদালতে তোলা হবে। যদিও বধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিকাশবাবু এবং তাঁর মা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাঁইথিয়ার রুদ্রনগরের বাসিন্দা ষষ্ঠী ভল্লার ছেলে বিকাশের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার শেওড়া গ্রামের সুনীল ভল্লার মেয়ে শিখার বিয়ে হয়। আট বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। দুই সন্তান আছে। সুনীলবাবু পুলিশের কাছে অভিযোগে বলেছিলেন, বিয়ের পর থেকেই তাঁর মেয়ের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা। শনিবার রাতে স্বামী ও শাশুড়ি মেয়েকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে। প্রথমে তাঁকে সাঁইথিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলে সোমবার রাতে সেখানেই মারা যান তিনি।
বিকাশবাবু এবং তাঁর মা অবশ্য এই অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। বিকাশবাবুর দাবি, “ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য আমার কিছু জমানো টাকা দেওয়ার কথা ছিল। এতে স্ত্রীর আপত্তি থাকায় তা নিয়ে আমাদের সামান্য বিবাদও হয়। তার পরেই ও নিজেই গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরায়। বাঁচানোর চেষ্টা করতে গিয়ে আমিও আহত হই। আমি বা আমার পরিবারের কেউই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই।” পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। |
|
|
|
|
|