|
|
|
|
পিসিকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ, গ্রেফতার ভাইঝি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়ূরেশ্বর |
বিবাহ ‘বহির্ভূত’ সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় প্রতিবন্ধী পিসির হাত -পা বেঁধে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল ভাইঝি ও তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে। পুলিশ ভাইঝিকে গ্রেফতার করলেও, প্রেমিক পলাতক। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম মেনকা দাসবৈরাগ্য (৫৫ )। মঙ্গলবার রাত ৭টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে ময়ূরেশ্বর থানার এলাকার রাতমা গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতমা গ্রামের একতলা পাকা বাড়িতে থাকতেন হাত -পা পোলিও আক্রান্ত মেনকাদেবী। তাঁর নামে কিছু জমি ও নগদ টাকা রয়েছে। তাঁর সঙ্গে থাকতেন ভাইঝি মল্লিকা দাসও। বছর দশেক আগে গ্রামেই বিয়ে হয়েছিল মল্লিকার। ৯ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। পাঁচ বছর আগে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় মল্লিকাদেবীর স্বামী নন্দ দাসের। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে মেয়েকে নিয়ে পিসিমার বাড়িতে থাকতেন। বাসিন্দাদের দাবি, নন্দবাবুর মৃত্যুর পর গ্রামেরই যুবক পলাশ দাসবৈরাগ্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে মল্লিকার। মেনকাদেবীর বাড়িতে যাতায়াত করত পলাশ। এই নিয়ে অশান্তি চলছিল মেনকাদেবীর সঙ্গে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেই আক্রোশে এবং বিষয় -সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার জন্য মেনকাদেবীর হাত -পা বেঁধে কেরোসিন ঢেলে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় মল্লিকা ও পলাশ। চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে যান মেনকাদেবীর বাড়িতে। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বুধবার ভোরে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। এ দিকে, আগুন লাগানোর পরে চম্পদ দেয় পলাশ। আর মল্লিকা ছুটে গিয়ে পলাশের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। রাতেই পুলিশ মল্লিকাকে গ্রেফতার করে এবং পলাশের বাবা ও ভাইকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পুলিশের দাবি, জেরায় মল্লিকা খুনের কথা স্বীকার করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে বাধা দূর করা এবং সম্পত্তি হাতানোর জন্য এই খুন। পলাশের খোঁজ চলছে। গ্রামবাসীদের ক্ষোভ থেকে বাঁচাতে পলাশের বাবা ও ভাইকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা বিজেপির দক্ষিণগ্রাম অঞ্চল সমিটির সভাপতি তুষার দত্ত ও জীতেন দাঁর দাবি, “ভাইঝির বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি ছিল মেনকাদেবীর। সেই রাগে এবং তাঁর সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার মল্লিকা ও পলাশ এই কাজ করেছে। মৃত্যুর আগে মেনকাদেবী একথা বলে গিয়েছেন। ফোনে রেকর্ড করে পুলিশকে দেওয়া হয়েছে।”
পলাশের মা সবিতা দাস অবশ্য বলেন, “সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। মল্লিকার মেয়েকে পড়ানোর জন্য ছেলে মেনকাদেবীর বাড়ি যেত। গ্রামবাসীরা চক্রান্ত করে ছেলেকে ফাঁসাতে চাইছেন।” |
|
|
|
|
|