|
|
|
|
প্রৌঢ়াকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কালনা |
এক প্রৌঢ়াকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল আর এক মহিলার বিরুদ্ধে। কালনা ১ ব্লকের বেগপুর পঞ্চায়েতের ভেরোপাড়া গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ওই মহিলার নাম সখি মাঝি (৫০)।
স্থানীয় বুলবুলিতলা পুলিশ ফাঁড়িতে বুধবার তাঁর ছেলে ঝন্টু মাঝি অভিযোগ করেন, “মা খড় চুরি করেছে দাবি করে পূর্ণিমা খন্ডেত নামে পাড়ারই এক মহিলা মঙ্গলবার সকালে তাঁকে দু’বার মারধর করে। তাতেই মা মারা যান।” বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত অবশ্য ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি পলাতক।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার সকালে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তায় সখিদেবীকে দেখে ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে হঠাৎই তাঁর পথ আটকান পূর্ণিমাদেবী। অভিযোগ করতে থাকেন, রাতে তাঁর খড়ের পালা থেকে এক বোঝা খড় চুরি করে নিয়েছেন সখিদেবী। সখিদেবী এ সব অস্বীকার করলে প্রথমে তর্কাতর্কি এবং পরে তাঁকে মারধর করেন বছর পঁয়ত্রিশের পূর্ণিমা।
একশো দিনের প্রকল্পে পাড়ায় একটি পুকুর কাটার কাজ চলছে। একই পাড়ার বাসিন্দা, সখিদেবীর বোন কাজল বাগের অভিযোগ, “প্রথম বার হাতাহাতি করে পূর্ণিমা কাজে চলে যায়। টিফিনে বাড়ি ফেরার পরে ফের একটি চেলা কাঠ দিয়ে দিদিকে মারে ও। আমি তখন আটকাতে যাই। আমাকেও মারবে বলে হুমকি দেয়। |
|
নিহতের শোকার্ত আত্মীয়েরা। নিজস্ব চিত্র। |
তবে এই সময় ওর রাগ পড়ে আসে। আর মারধর করছিল না। দিদি তখনও ওখানে বসেছিল। আমি ভেবেছিলাম, একটু সুস্থ হলে ও বাড়ি ফিরে যাবে। আমিও আমার কাজে চলে যাই। কিন্তু বিকেলে ওই গলির কাছেই একটি বাড়ির গোয়ালঘরে দিদির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।” মৃতদেহের নাক দিয়ে তখন রক্ত পড়ছিল বলে দাবি করেছেন কাজলদেবী।
ভেড়োপাড়া গ্রামের এক বাসিন্দা সুদেব মালিকের অভিযোগ, “প্রথম বার মারধর করার পরেই পূর্ণিমা সখিকে ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছিল।” ঝন্টুবাবুর কথায়, “মাকে তো ওই মহিলা খড় চুরি করতে দেখেননি। শুধু সন্দেহের বশেই মাকে মারধর করেন। সেটা সহ্য করতে না পেরেই মা মারা গিয়েছেন।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগেও দু’বার এলাকায় বিভিন্ন অশান্তিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ রয়েছে পূর্ণিমার বিরুদ্ধে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভেরোপাড়া গ্রামের দুলেপাড়ায় দীর্ঘ দিন ধরে বাস সখিদেবীর। ১৬ বছর আগে তাঁর স্বামী মারা যান। তার পর থেকে ছেলে ঝন্টুর সঙ্গেই থাকতেন তিনি। ঝন্টুবাবু পেশায় খেতমজুর। সখিদেবীকেও মাঝেমধ্যে মাঠে কাজ করতে যেতে হত। একশো দিনের কাজেও তাঁকে যোগ দিতে দেখা যেত বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
বুলবুলিতলা ফাঁড়ি সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। সখিদেবীর দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। |
|
|
|
|
|