আলো-ছাউনি কিছুই নেই, বেহাল প্রান্তিকা বাসস্ট্যান্ড
পিং মল, তারকা হোটেল থেকে শুরু করে মাল্টিপ্লেক্স। একে একে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন নামিদামী সংস্থার ‘শো-রুম’, বেসরকারি সংস্থার অফিস থেকে আধুনিক রেস্তোঁরা। সময়ের সঙ্গে ক্রমশ উন্নত হয়েছে দুর্গাপুর। অথচ হাল পাল্টায়নি অন্যতম প্রধান বাসস্ট্যান্ডটির। শহরের অন্য অংশের তুলনায় বেমানান প্রান্তিকা বাসস্ট্যান্ডটি। অবিলম্বে সেখানে উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার দাবি তুলেছেন যাত্রী, বাসের মালিক ও কর্মীরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বেনাচিতির কাছে প্রান্তিকা বাসস্ট্যান্ডটি বহু পুরনো। আগে শহরে বাস চলাচলের রুটের সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। ফলে বাসও কম ছিল। মূলত সরকারি বাসই চলত। কিন্তু গত কয়েক বছরে শহরে গড়ে উঠেছে ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যানেজমেন্ট-সহ নানা কলেজ। গড়ে উঠেছে বহু নতুন শিল্প কারখানা। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা অফিস খুলেছে দুর্গাপুরে। ফলে শহরে মানুষজনের সংখ্যা বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বাসের সংখ্যাও। গুরুত্ব বেড়েছে বাসস্ট্যান্ডগুলিরও। মূলত স্টেশন থেকে আসা এ-জোন, বি-জোন, বেনাচিতি রুটের বাস এবং এমএএমসি, মুচিপাড়া থেকে আসা বাসগুলি প্রান্তিকা স্ট্যান্ড ব্যবহার করে। সব মিলিয়ে তার সংখ্যা প্রায় ১৭০।
নিজস্ব চিত্র
তার উপরে বিভিন্ন রুটের বড় বাস তো আছেই। প্রতি দিন কয়েকশো যাত্রী এই স্ট্যান্ড থেকে বাসে ওঠেন। অথচ ন্যূনতম পরিকাঠামোও নেই স্ট্যান্ডটির।
বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গিয়েছে, এক সঙ্গে বেশ কয়েকটি বাস দাঁড়ানোর মতো জায়গা নেই। ফলে অনেক বাসই দাঁড়িয়ে থাকে রাস্তাজুড়ে। যাত্রীদের জন্য কোনও প্রতীক্ষালয় তো দূর, খোলা আকাশের নীচেও বসার কোনও বন্দোবস্ত নেই। রাস্তার পাশে চওড়া খোলা নর্দমা। তড়িঘড়ি বাস ধরতে গিয়ে যাত্রীরা বা বাস পরিষ্কার করতে গিয়ে কর্মীরা সেই নর্দমায় পড়ে গিয়েছেন, এমন নজিরও আছে বেশ কিছু। সামান্য একটু বৃষ্টি হলেই জল দাঁড়িয়ে যায়। যাত্রীরা সেই নোংরা জলের উপর দিয়েই যাতায়াত করতে বাধ্য হন। নিত্যযাত্রী সোনালি মুখোপাধ্যায়, ঋ
জু রায়েরা বলেন, “দুর্গাপুর স্টেশন বা সিটি সেন্টার বাসস্ট্যান্ড থেকে এসে এখানে নামতে বিরক্ত হই। অথচ উপায়ও নেই। দিনের পর দিন এ ভাবেই চলছে।” বাসস্ট্যান্ডের পাশেই একটি ছোট দোকান চালান ওমপ্রকাশ সাউ। তাঁর কথায়, “বৃষ্টি বা রোদের হাত থেকে বাঁচতে অনেক সময় যাত্রীরা আমার দোকানে এসে আশ্রয় নেন। বিরক্ত হলেও কিছু বলতেও পারি না। ওঁরাই বা যাবেন কোথায়!” আলোর কোনও ব্যবস্থা নেই। তাই সন্ধ্যা নামলেই বাসস্ট্যান্ড ঘুটঘুটে অন্ধকার।
বাসমালিক সংগঠনের এক কর্তা কাজল দে বলেন, “পুরসভার পক্ষ থেকে ওই স্ট্যান্ডের উন্নয়নে কোনও পদক্ষেপই করা হয়নি। আমাদের তরফে আলো লাগানো বা যাত্রীদের জন্য ছাউনি গড়ার মতো কিছু উদ্যোগ মাঝে-মধ্যে হয়েছে। আধুনিক পরিকাঠামো যুক্ত নতুন বাসস্ট্যান্ড গড়া উচিত প্রান্তিকায়।” পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রান্তিকায় উন্নত বাসস্ট্যান্ড গড়ার মতো প্রয়োজনীয় জমি নেই। আগে প্রান্তিকায় ডিএসপি-র ফাঁকা জমিতে বাস দাঁড়াত। কালক্রমে তা-ই বাসস্ট্যান্ডে পরিণত হয়েছে। ওখানে বাসস্ট্যান্ড গড়ার মতো বড় জমি নেই পুরসভা বা এডিডিএ-র হাতে নেই। বিষয়টি নিয়ে ডিএসপি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন পুরসভার ডেপুটি মেয়র শেখ সুলতান।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.