১০০ দিনের প্রকল্পে পুকুর খোঁড়ার কাজের জন্য ৯ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। পুকুরের মালিক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় কাজ বন্ধ করার অভিযোগ ওঠেছে কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। গত ডিসেম্বর মাসে ঘটনাটি ঘটলেও প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। বিডিও সজল তামাং বলেন, “পুকুর খননের নামে এক সদস্যের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগের তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত সদস্যের সঙ্গে কথাও হয়েছে। সব খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অভিযুক্ত ওই পঞ্চায়েত সদস্যের নাম এক্রামূল হক। পুকুরের মালিক সাজাদুর ইসলামের অভিযোগ, “এক্রামূল হককে পুকুর খননের কাজের জন্য ৯ হাজার টাকা দিই। টাকা না দিলে কাজ তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। কাজ শুরু হওয়ার কিছু দিন বাদেই আমি তৃণমূলে যোগ দিই। তার পরে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রশাসনকে জানিয়ে ফল মেলেনি।” অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য এক্রামূল হক সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “অভিযোগ যে মিথ্যা তদন্তে স্পষ্ট হবে।” কোতল মৌজায় সাজাদুলের পুকুরটি রয়েছে। জলাধার বাড়ানোর উদ্দেশ্যে প্রতিটি পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের প্রকল্পে পুকুর খননের কাজ চলছে। ন’হাজার টাকা নিয়ে সাজাদুর ইসলামের পুকুর খননের জন্য দেড় লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয় বলে অভিযোগ। ১৪ ডিসেম্বর কাজ শুরু করে পঞ্চায়েত। ২৭ ডিসেম্বর থেকে খনন বন্ধ করা হয়। পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান সেকেল আহমেদ সিরাজি বলেন, “মর্জি মতন কাজ করানোর অভিযোগ রয়েছে সাজাদুরের বিরুদ্ধে। তাই কাজ বন্ধ করা হয়েছে। সরকারি কর্মীরা মাপতে গেলে ওই ব্যক্তি গোলমালও করেন। ওখানে কাজ করা হবে না। ওই টাকা অন্য খাতে খরচ হবে।” পুকুর মালিক তথা দলীয় সমর্থকের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল। দলের রশিদাবাদ অঞ্চল কমিটির সভাপতি মহম্মদ হাসিব বলেন, “সাজাদুলের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক কারণে কাজও বন্ধ করা হয়।” হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি বিমানবিহারী বসাক বলেন, ‘এক্রামূল হকের এলাকায় যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। ওঁর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ মানা যায় না। ইচ্ছাকৃতভাবে গ্রাম পঞ্চায়েতের নামে বদনাম করা হচ্ছে।” |