পঞ্চায়েতে একা লড়বে কংগ্রেস
মালদহ, মুশির্দাবাদের পর উত্তর দিনাজপুর জেলাতেও আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে একা লড়াই করার ঘোষণা করল কংগ্রেস। সোমবার রায়গঞ্জের জেলাশাসকের দফতরের এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণ এবং চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি সহায়ক দামে ধান কেনার দাবিতে অবস্থান, বিক্ষোভ করে কংগ্রেস। সেখানেই জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত ওই ঘোষণা করেন। জেলা কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলায় তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেস জোট করবে না। একাই লড়ব। জেলার প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দলকে শক্তিশালী করার কাজ শুরু হয়েছে।” প্রত্যাশামত তৃণমূল কংগ্রেসের তরফেও পঞ্চায়েত ভোটে একা লড়ার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। দলের জেলার নেতা তথা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষ বলেন, “নিজেদের অস্বিস্ত টিকিয়ে রাখতে কংগ্রেস রাজ্য সরকারের নামে নানা মিথ্যা অভিযোগ করছে। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা একা লড়েই কংগ্রেসকে দেখিয়ে দেব।” এ দিন কংগ্রেস সাংসদ দীপা দাশমুন্সির এবং জেলা কংগ্রেস সভাপতির নেতৃত্বে সোমবার কর্মী সমর্থকেরা রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় জেলাশাসকের দফতরে বিক্ষোভ দেখান।
সোমবার হরিবামপুরে যুব কংগ্রেসের ডাকা সভার শেষে একটি খুঁটি ভেঙে মঞ্চটি
বসে যায়। কংগ্রেসের এক নেতা জানান, মঞ্চে হাজির দীপা দেবী-সহ অন্যরা
তা সামলে নেওয়ায় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। ছবি: অমিত মোহান্ত।
জেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। ৫ ঘন্টা অবস্থান বিক্ষোভ চালার পর প্রশাসনিক আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রভুদত্ত প্রধান বলেন, “আন্দোলনকারীদের দাবি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলার প্রতিটি ব্লকেই চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনার কাজ শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।” সাংসদ দীপাদেবী বলেন, “এই জেলায় কংগ্রেস শক্তিশালী। তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার হাসপাতালটি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। অবিলম্বে হাসপাতালের জমি অধিগ্রহণ করা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য উত্তরবঙ্গ অচল করে আন্দোলনে নামা হবে।” ২০০৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ৮২৬ কোটি টাকা ব্যায়ে ১০০ একর জমিতে রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির অনুমোদন দেয়। ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রায়গঞ্জের পানিশালায় প্রশাসনের চিহ্নিত করা ১২০ একর জমি পরিদর্শন করে রাজ্য সরকারকে জমি অধিগ্রহণ করার অনুরোধ করেন। কংগ্রেসের অভিযোগ, জেলার ৯টি ব্লকের চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি কুইন্ট্যাল প্রতি ১০৮০ টাকা সহায়ক দরে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। গত নভেম্বর মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ৭টি ব্লকে ২২টি শিবির করে সাড়ে ১০ হাজার মেট্রিক টন ধান কিনেছে। গোয়ালপোখর ও চোপড়া ব্লকে এখনও ধান কেনার কাজই শুরু হয়নি। সম্প্রতি হেমতাবাদ ব্লকে ধানের দাম বাবদ কিছু ধান চাষির চেক বাউন্স হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.