নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
অন্য বাম শরিকেরা যোগ না-দিলেও গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে রাজ্য সরকারের তৈরি হাই পাওয়ার কমিটির সর্বদল বৈঠকে যোগ দিচ্ছে আরএসপি। সোমবার দার্জিলিং জেলা বামফ্রন্টের বৈঠকে আরএসপি’র পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকের পরে জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “সিপিএম, সিপিআই এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের পক্ষ থেকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি হাই পাওয়ার কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে বক্তব্য পেশ করা হয়। সম্মেলনে ব্যস্ত থাকায় সেদিন আরএসপি’র প্রতিনিধিরা যেতে পারেননি। ২৪ ফেব্রুয়ারি সর্বদল বৈঠকের দিন তাঁরা চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করবেন। তবে সর্বদল বৈঠকে অন্য শরিকেরা যাচ্ছেন না।” আরএসপি’র দার্জিলিং জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বিকাশ সেনরায় বলেন, “সর্বদল বৈঠকের দিন আমরা হাই পাওয়ার কমিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গেই দেখা করতে বক্তব্য পেশ করতে চাই। যদি সেদিন চেয়ারম্যানের সঙ্গে একান্তে দেখা করা সম্ভব না-হয় তাহলেই সর্বদল বৈঠকে অংশ নিয়ে আমাদের বক্তব্য জানাব।” এদিন অশোকবাবু অভিযোগ করেন, সর্বদল বৈঠকে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে হাই পাওয়ার কমিটি রাজনৈতিক দলগুলিতে যে ‘ভাষা’য় চিঠি দিয়েছে তা আপত্তিকর। ওই চিঠিতে তাঁদের বৈঠকে যোগ দেওয়ার ‘নির্দেশ’ দেওয়ার পাশাপাশি ওই বৈঠকে যোগ না-দিলে কমিটি ‘এক তরফা’ সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অশোকবাবুর অভিযোগ। তিনি বলেন, “এটি একটি প্রশাসনিক কমিটি। ওই কমিটির এই ধরনের ভাষায় চিঠি দেওয়াটা আপত্তিকর।” বামেদের পক্ষ থেকে জিটিএ-র সীমানা নির্ধারণ চূড়ান্ত হওয়ার অপেক্ষায় না-থেকে গোর্খা পার্বত্য পরিষদ এলাকার মধ্যেই দ্রুত নির্বাচনের দাবি তোলা হয়েছে। প্রাক্তন পুরমন্ত্রী এ দিন দাবি করেন, জিটিএ-র সীমানা নির্ধারণ নিয়ে হাই পাওয়ার কমিটি তৈরি করাই অপ্রয়োজনীয়। মোর্চাকে খুশি করতেই ওই কমিটি গঠন করে রাজ্য সরকার। তিনি বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই বলেছিলাম, জিটিএ-র সীমানা নির্ধারণ নিয়ে কমিটি গঠন নতুন করে সমস্যা ডেকে আনবে। সেটাই হয়েছে। রাজ্য সরকার নিজেই এই সমস্যা ডেকে এনেছে।” দলের সদ্য সমাপ্ত রাজ্য সম্মেলনে পাহাড়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সংবিধান সন্মত আঞ্চলিক সায়ত্বশাসন এবং নেপালিদের ভাষিক সংখ্যাসঘু হিসাবে স্বীকৃতির দাবিতে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয় বলে অশোকবাবু জানান। |