নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
কালিম্পং মহকুমার তিনটি এলাকায় গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিটিএ) বিরোধিতা করে পোস্টার পড়াকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। পোস্টারে আলাদা রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের জন্য পাহাড়বাসীকে দাবি তোলার কথাও বলা হয়েছে। গত রবিবার সকাল থেকে কালিম্পং শহর, পেদং এবং আলগাড়া বাজার এলাকায় ওই পোস্টারগুলি দেখা যায়। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার কিছু সমর্থক পোস্টারগুলি ছিঁড়ে ফেলেন বলে অভিযোগ। আলগাড়ায় কয়েকটি পোস্টারে পাহাড়ের বিতর্কিত নেতা ছত্রে সুব্বাকে সমর্থনের কথাও লেখা ছিল। পোস্টার সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন কালিম্পঙের বিধায়ক তথা মোর্চার প্রচার সচিব হরকা বাহাদুর ছেত্রী। তিনি বলেন, “আমি কালিম্পঙেই আছি। আমার চোখে তো এমন কিছু পড়েনি। তবে অবশ্যই বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।” আর কালিম্পঙের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঙ্গমিত লেপচা বলেন, “আলগাড়া বাজারে আমরা একটি পোস্টার পেয়েছি। কারা কী কারণে তা দিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি পাহাড় সফরে আসছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পানীয় জল প্রকল্পের উদ্বোধনের পাশাপাশি একগুচ্ছ উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনার কথা ঘোষণা করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী। তার থেকে বড় বিষয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে দিল্লিতে দ্রুত জিটিএ গঠন নিয়ে বৈঠকের পরেই তিনি পাহাড়ে আসবেন। এতে পাহাড় সমস্যা নিয়ে আশার আলো দেখছেন মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এই অবস্থায় পাহাড়ের অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতেই ওই পোস্টার সেঁটে উত্তেজনা ছড়ানো হচ্ছে বলে মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “জিটিএ দ্রুত গঠন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন। পাশাপাশি পাহাড়ে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা কেউ করতে তা বরদাস্থ করা হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। তার পরেই ইচ্ছাকৃতভাবে এই কাজ করা হচ্ছে।” পুলিশ সূত্রের খবর, আলগাড়া বাজার, পেদং বাজারের পাশাপাশি কালিম্পং শহরের জনবহুল ডম্বরচকে ওই পোস্টারগুলি দেখা গিয়েছে। প্রতিটি এলাকায় ৬-১০টি করে পোস্টার সাঁটা হয়েছিল। সাদা কাগজে নীল রঙের কালি দিয়ে হাতে পোস্টারগুলি লেখা হয়েছে। জিটিএ-র বিরোধিতার পাশাপাশি নতুন করে পাহাড়ের মানুষকে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে সরব হওয়ার আবেদন করা হয়েছে। পোস্টারে কোনও সংগঠন বা দলের নাম নেই। নিচে দার্জিলিঙের পাশাপাশি তরাই এবং ডুয়ার্সের গোর্খ্যাল্যান্ডপ্রেমী জনতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পোস্টারের প্রথমেই লেখা হয়েছে, সুবাস ঘিসিং-র জিএনএলএফ ২১ বছর ক্ষমতায় ছিল। মোর্চার নাম না করেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে, জিটিএ ৩০ বছর থাকার পরিকল্পনা কী। |