জল্পেশে অনাহুত গৌতম, বিক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়নাগুড়ি |
জল্পেশে গৌতম দেব। সোমবার ছবিটি তুলেছেন দীপঙ্কর ঘটক। |
সোমবার জল্পেশ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তৃণমূলের মন্ত্রী ও বিধায়কদের আমন্ত্রণ না জানানোয় জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অসৌজন্যতার অভিযোগ তুললেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। আমন্ত্রণ না জানানো হলেও তিনি এদিন রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়কে সঙ্গে নিয়ে জল্পেশ মন্দিরে যান। পুজো দেন। মেলা প্রাঙ্গনে দলীয় কার্যালয়ে উদ্বোধন করে মন্ত্রী বলেন, “আয়োজকরা আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর সৌজন্য দেখাননি। আমি খোলা মন নিয়ে রাজ্যের প্রসিদ্ধ শিব মন্দিরে ঘুরে দেখতে এসেছি। আয়োজকদের উপেক্ষাকে গুরুত্ব দিচ্ছি না।” তিনি ওই কথা বললেও ক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখান। মেলার উদ্বোধন করেন মনয়াগুড়ির আরএসপি বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী। কেন তৃণমূলের বিধায়কদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি তা নিয়ে জেলা পরিষদের কর্তারা কিছু বলতে চাননি। জলপাইগুড়ির কংগ্রেস বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা বলেন, “আমাকে আমন্ত্রণ করেছে, তাই আমি এসেছি।” উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী এ দিন মেলায় পৌঁছে সোজা মন্দিরে যান। মন্দিরের কর্তারা তাঁকে অফিসে বসতে বললে ক্ষুব্ধ মন্ত্রী বলেন, “আমন্ত্রণ জানাননি কেন যাব আপনাদের অফিসে।” পরে অবশ্য তিনি মন্দির কমিটির অফিসে গিয়ে বসেন। পরে তিনি যান মন্দির সংলগ্ন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের আর্থিক সাহায্যে তৈরি পর্যটক আবাসে। তিনি বলেন, “পর্যটক আবাসের জন্য শিশু উদ্যান হবে। খরচ হবে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা। এ ছাড়াও জল্পেশকে ঘিরে পর্যটন সার্কিট তৈরির পরিকল্পনা আছে।” এদিন ময়নাগুড়ি হেরিটেজ অ্যাণ্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কমিটির তরফে মন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়ে ময়নাগুড়িকে ‘হেরিটেজ হাব’ ঘোষণার আর্জি জানানো হয়। |
শিবরাত্রিতে পুণ্যার্থীর ঢল
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
প্রায় ৮ কিলোমিটার দুর্গম পাহাড়ি পথ অতিক্রম করে শিবরাত্রি উপলক্ষে জয়ন্তীর কাছে মহাকাল মন্দিরে ঢল নামল ভক্তদের। দশর্নার্থীদের সুবিধার জন্য কালচিনি ব্লক প্রষাশন ও বনদফতর তরফ থেকে নিরাপত্তা-সহ নানা পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করেছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থাও। বন দফতরের তরফে রাজাভাতখাওয়া চেকপোস্টে তিনদিন কোনও প্রবেশমূল্য নেওয়া হচ্ছে না। কালচিনির বিডিও থেন্ডুপ শেরপা জানান, প্রতি বাসিন্দারা মহাকালের পাহাড়ি গুহায় শিবের প্রাকৃতিক মূর্তিতে জল ঢালতে যান। গত শনিবার রাত থেকে ভক্তরা ভিড় করছেন। রাজাভাতখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জয়ন্তী নদীর উপর বাঁশের সাঁকো এবং পাথর দিয়ে গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিন সকাল থেকেই জয়ন্তী থেকে পাথুরে রাস্তা দিয়ে মহাকাল পাহাড়ের দিকে যাওয়া ভক্তদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। হাতে ফুল, বেলপাতা, ধূপ, দুধ নিয়ে এগিয়ে চলেছেন দর্শনার্থীরা এগিয়ে যাচ্ছিলেন। প্রায় আট কিলোমিটার দুর্গম পথে দর্শনার্থীদের জন্য কোথাও শবরত, কোথাও খিচুড়ির ব্যবস্থা করেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি সীমান্ত এলাকায় হওয়ায় সর্বত্র ছিল এসএসবি জওয়ানদের টহলদারি। মঙ্গলবারও পুজো চলবে। বিভিন্ন সংগঠনের তরফে চিকিৎসা পরিবেষা ব্যবস্থাও করা হয়েছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জয়ন্তীর রেঞ্জ অফিসার নারায়ণ ঘোষ বলেন, “বন দফতরের তরফে বিভিন্ন পাথরে গাছে আগুন না লাগানো, প্লাস্টিক বর্জনের সতর্কবানী লেখা হয়েছে। রাতে এলাকায় বন কর্মীদের টহলদারি বাড়ানো হয়েছে।” এনবিএসটিসি’র আলিপুরদুয়ার ডিপো ইনচার্জ কানাই দাস বলেন, “আলিপুরদুয়ার থেকে একটি বাস দিনে দুইবার জয়ন্তী যাতায়াত করে। তবে শিবরাত্রি উপলক্ষে অতিরিক্ত দুটি বাসা চালানো হচ্ছে। প্রতিদিন ১৮বার বাসগুলি যাতায়াত করবে।” কালচিনি থেকে নির্বাচিত জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ সদস্য রামকুমার লামা জানান, মহাকাল পাহাড়টি ভুটানে অবস্থিত। প্রতিবছর শিবরাত্রি উপলক্ষে দেড়লক্ষ মানুষ আসেন। এলাকাটি ভুটানে হওয়ায় উন্নয়নের সমস্যা রয়েছে। তাই সাময়িক পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়। |
জাতীয় কর্মশালার সূচনা
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
কর্মশালার উদ্বোধন করছেন অরুণাভ বসু মজুমদার। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক। |
‘ম্যানেজমেন্ট’ পড়াশোনায় গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে জাতীয় কর্মশালা শুরু হল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। সোমবার সকাল ১১টা থেকে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স হলে ওই কর্মশলা শুরু হয়।
‘রিসার্চ মেথোডলজি ইন ম্যানেজমেন্ট র্সার্ভিস’ শীর্ষক ওই কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অরুণাভ বসু মজুমদার। তিনি বলেন, “গবেষণা করতে গেলে তাঁর পদ্ধতিটা জানা দরকার। এই কর্মশালা খুব গুরুত্বপূর্ণ।” এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান দেবব্রত মিত্র, আইআইএম কলাকাতার অধ্যাপক ভারতেন্দ্ নাথ শ্রীবাস্তব, গুরুকুল কাংরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পঙ্কজ মাদান, অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাট্টারামা মোহনা রাও। অধ্যাপক জেতা সাংকৃত্যায়ন। কর্মশালায় প্রায় ২০০ জন অধ্যাপক ও গবেষক অংশগ্রহণ করেন। |
জেলাশাসককে বিক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের সরকারি চাকরিতে পুনর্নিয়োগের বিরোধিতা করে সোমবার জেলাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাল সিপিএমের ছাত্র ও যুব সংগঠন। সরকারি চাকরিতে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পুনর্নিয়োগের ফলে বেকার যুবক যুবতীরা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছে ডিয়াইএফ। এদিন বিক্ষোভের পাশাপাশি জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসককে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ঠিকা শ্রমিকদের ছাঁটাই করার বিরুদ্ধেও এদিন প্রতিবাদ জানানো হয়। পরিবহণ সংস্থার অবরপ্রাপ্ত কর্মীদের বকেয়া পেনশন দেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে। ডিওয়াইএফের জেলা সম্পাদক অরিন্দম চক্রবর্তী বলেন, “রাজ্যে শ্রমিক ও কৃষকরা বিপন্ন। তারই মধ্যে বেকার যুবক যুবতীদেরও বঞ্চনার পথে হাঁটছে রাজ্য সরকার। সরকারি পদে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত রাজ্যের যুব সম্প্রদায়ের কাছে অভিশাপ। দ্রুত এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না হলে সাধারণ মানুষকে আন্দোলনে সামিল করা হবে।” |
ছ’মাস মেয়াদ বাড়ল পার্বত্য পরিষদের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
|
রাজ্য প্রশাসন ভেবেছিল, বিধানসভায় অনুমোদিত ‘গোর্খা টেরিটরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেটশন’ বা জিটিএ বিলে জানুয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রপতির সম্মতি পাওয়া যাবে। সেই কারণে দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিল (ডিজিএইচসি)-এর মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছিল সরকার। কিন্তু জিটিএ বিলে এখনও রাষ্ট্রপতির অনুমোদন মেলেনি। তাই সোমবার দার্জিলিং গোর্খা পার্বত্য পরিষদের সময়সীমা ছ’মাস বাড়ানো হয়েছে। জিটিএ চুক্তি রূপায়ণে দেরি হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক বার অভিযোগ করেছেন। মহাকরণ সূত্রের খবর, কয়েক দিন আগে এ ব্যাপারে কিছু প্রশ্ন তুলে রাজ্য সরকারকে চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ইতিমধ্যে তার উত্তর দিল্লিতে পাঠিয়ে দিয়েছেন মুখ্যসচিব সমর ঘোষ। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, জিটিএ বিলে রাষ্ট্রপতির সম্মতি যাতে দ্রুত পাওয়া যায়, সেই অনুরোধ জানিয়ে গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী নিজে চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে। রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “মঙ্গলবার (আজ) রাতে মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি যাচ্ছেন। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক হবে। আলোচনা হবে এই বিষয়েও।” |
বধূ নির্যাতনের অভিযোগ আলিপুরদুয়ার এক ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার ওই চিকিসক হাঁসিমারা ফাঁড়িতে আত্মসমর্পণ করার পর তিনি গ্রেফতার হন। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বিশ্বচাঁদ ঠাকুর জানান, ওই চিকিৎসক সৌম্যজিৎ পুরকায়স্থের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী বধূ নিযার্তনের অভিযোগ করেছেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারী অভিযুক্তের স্ত্রী জয়গাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। |