কর্তব্যে গাফিলতি, অভিযুক্তের সঙ্গে যোগসাজস করে অভিযোগকারীকেই হুমকি দেওয়ার মতো অভিযোগ তুলে নবদ্বীপ থানার এক সাব ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হলেন এই শহরেরই বাসিন্দা যমুনা দাসি নামে এক প্রৌঢ়া। শহরের চটির মাঠের বাসিন্দা যমুনাদেবী গত ১০ জানুয়ারি নবদ্বীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে অভিযোগ করেন যে, পুত্রবধূ তাঁকে মারধর করেন ও মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। আদালত সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুরো বিষয়টি তদন্তের জন্য নবদ্বীপ থানাকে নির্দেশ দেয়। যমুনাদেবীর অভিযোগকেই এফআইআর হিসেবে ধরে নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্তকারী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় এসআই প্রশান্ত কর্মকারকে। যমুনাদেবীর অভিযোগ, “ওই পুলিশ অফিসার আমাকেই উল্টে হুমকি দিচ্ছেন।”
যমুনাদেবী বলেন, “থানায় গিয়েছিলাম। কিন্তু আমার কথায় কেউ কোনও গুরুত্ব দেয়নি। এখন আদালত নির্দেশ দেওয়ার পরেও পুলিশ কেন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না জানতে চাইলে ওই অফিসার আমাকে ‘মামলা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে আপনাদের বধূ নির্যাতনের মামলায় গ্রেফতার করব।’ এরপরেই আমি আবার আদালতে এসেই ওই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি।” যমুনাদেবীর অভিযোগ, “বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।” তাঁর আইনজীবী সুব্রত গুঁই বলেন, “নবদ্বীপ থানার এসআই প্রশান্ত কর্মকার ও যমুনাদেবীর পুত্রবধূর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩, ৪০৬, ৫০৪, ৫০৬ এবং ১২০ বি ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নবদ্বীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামলাটি বিচারের জন্য গ্রহণ করেছেন।” নদিয়ার পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমণ মিশ্র বলেন, “আদালত যদি নির্দেশ দেয়, তা হলে বিভাগীয় তদন্ত হবে। সেখানে অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |