একই দিনে সভা, পাল্টা সভা। রবিবার সুতি ১ ব্লকে কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় স্তরে কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী সাদিকপুরের ফতুল্লাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাইক বেঁধে সভা করে জানিয়ে দিল, দলের চাপিয়ে দেওয়া ব্লক সভাপতিকে তাঁরা মানেন না। বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর দাবি, সাধারণ কর্মীদের মতামত না নিয়েই ব্লক সভাপতি করা হয়েছে। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্লকের সর্বত্র পাল্টা প্রার্থী দেওয়া হবে। বিক্ষুব্ধদের এই সভা ও দাবিকে অবশ্য ব্লক সভাপতি রজত দাস ‘গুরুত্বহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। গত দু’বছরে সুতি ১ ব্লকে কংগ্রেসের সভাপতি পরিবর্তন করা হয়েছে ৪ বার। বিক্ষুব্ধদের নেতা ও প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, “খেয়ালখুশি মতো ব্লক সভাপতি বদল করা হচ্ছে । কর্মীদের সঙ্গে কোনও আলোচনাই করা হয় না। জনভিত্তি নেই এমন লোককে ব্লক সভাপতি হিসেবে মানা কঠিন।” তাঁর কথায়, “এ রকমই চলতে থাকলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা বিক্ষুব্ধরা সব আসনে পাল্টা প্রার্থী দেব।” তবে সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, “কোনও অবস্থাতেই কংগ্রেস ছাড়ছি না আমরা।” কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সহ সভাপতি আশিস ঘোষ বলেন, “নুরপুরে ডাকা হয়নি। তাই নুরপুরে না গিয়ে ফতুল্লাপুরেই গিয়েছি।” বর্তমান পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা সিরাজুল ইসলামেরও বক্তব্য, “বর্তমান ব্লক কমিটির নেতারা যোগ্য সম্মান দিচ্ছেন না পুরনো কংগ্রেস কর্মীদের। তাই আমরা পাল্টা সম্মেলন শুরু করেছি।”
রজতবাবুর কথায়, “বিরোধ রয়েছে। তবে তা মেটাতে সকলকে নিয়ে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু প্রাক্তন সভাপতি মোজাম্মেল হক তো বলেই দিয়েছেন, আলোচনার কোনও দরকার নেই, তিনি আমাকে মানবেন না। এমনকী দলীয় অফিসটিও দখল করে রেখে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধেরা। তাই আহিরণে পাল্টা দফতর খুলতে হয়েছে আমাকে।” তবে তাঁর কথায়, “দলের বেশিরভাগ কর্মীই আমাদের সঙ্গে, বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে বেশি কেউ নেই। তাই উদ্বেগেরও কিছু নেই।” দলের জেলা কমিটির সদস্য আশিস তিওয়ারির বক্তব্য, “নুরপুরের সভা অনেক বড় ছিল। সাদিকপুরের সভায় সে ক্ষেত্রে লোকই ছিল না। এই নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই।”
কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক অশোক দাসের কথায়, “মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস নিয়ে রাজ্যে সবাই গর্ব করেন। আর যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁদের সবাই চেনেন। উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।” |