নেতাজি ভবন স্টেশনে টিকিট কেটে গেরুয়া বসনধারী এক প্রৌঢ় প্ল্যাটফর্মের মুখে এলেন। সিঁড়ি দিয়ে আস্তে আস্তে নেমে প্ল্যাটফর্মে থাকা চেয়ারে হেলান দিয়ে বসলেন। তার পরে ডান কাঁধে ঝোলানো ব্যাগটিতে হাত ঢুকিয়ে কী যেন করছিলেন। পাশে আরও দু’তিন জন অপেক্ষারত যাত্রী। তাঁদের মধ্যে এক যুবকও রয়েছেন। তাঁরা সবাই পাশে চেয়ারে বসা।
১০টা ৫৬ মিনিটে কবি সুভাষগামী ট্রেন তখন প্ল্যাটফর্মে ঢুকছে। টিভির পর্দায় দেখা গেল, গেরুয়া বসনধারী ওই ব্যক্তি চেয়ার ছেড়ে উঠে দ্রুত বড় বড় দূরত্বে পা ফেলে প্ল্যাটফর্মের হলুদ দাগের দিকে এগোলেন। পিছনে আরও এক যাত্রী। ট্রেনটি ঢোকামাত্র আচমকাই ওই গেরুয়াধারী ব্যক্তি প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিলেন।
কোনও সিনেমার গল্প নয়। সোমবার, নেতাজি ভবন স্টেশনে ওই ঘটনার পরে প্ল্যাটফর্মে থাকা সিসিটিভির ফুটেজের অংশ। পুলিশ জানায়, ওই প্রৌঢ়ের নাম কুমার ভট্টাচার্য (৫৫)। তিনি ভবানীপুরের রাজেন্দ্র রোডের বাসিন্দা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কুমারবাবু আত্মঘাতী হয়েছেন। মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক প্রত্যুষ ঘোষ জানান, এই ঘটনার জেরে ১০টা ৫৭ থেকে ১১টা ১৯ মিনিট পর্যন্ত মেট্রো চলাচল ব্যাহত হয়। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, কুমারবাবুর সঙ্গে যে ব্যাগটি ছিল, তা থেকেই তাঁর পরিচয় ও ঠিকানা মেলে। তার পরে খবর দেওয়া হয় বাড়িতে।
মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, কুমারবাবুর পিছন পিছন ওই যুবকও চেয়ার ছেড়ে উঠে এসেছিলেন। সিসিটিভি-তে দেখা যায়, তিনি নিজেও ট্রেন ধরতে এগোচ্ছিলেন। কিন্তু তার সামনেই ওই প্রৌঢ় আচমকা ঝাঁপ দেওয়ায় হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। তার পরে ছোটাছুটি শুরু করেন। ট্রেন চলাচল ফের শুরু হলে ওই যুবক অন্য ট্রেন ধরে গন্তব্যে যান। |