তিন দিন বন্ধ থাকার পরে আজ, মঙ্গলবার আবার কলকাতা থেকে উড়ান চালাতে পারে কিংফিশার। কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার কলকাতা-ঢাকা রুটে ব্যবহার করা হবে ছোট এটিআর বিমান। এই রুটে এত দিন এটিআর বিমানই চালাচ্ছিল কিংফিশার। বুধবার ভুবনেশ্বর এবং আইজলেও উড়ান চালানোর পরিকল্পনা করছে বিমান সংস্থা।
পর পর উড়ান বাতিলের কারণে, যাত্রীরা টিকিট বাতিলের জন্য দরবার করতে শুরু করেছেন। ইন্টারনেটে টিকিট বাতিল করতে গিয়ে অনেকে ব্যর্থ হয়েছেন। সোমবার বিমানবন্দরে গিয়ে অনেকে টিকিট বাতিল করে একশো শতাংশ টাকা ফেরত পেয়েছেন। তবে, সংস্থার প্রতিনিধিরা জানান, যে উড়ানগুলি বাতিল করা হয়নি, সেই উড়ানের টিকিট বাতিল করলে ১০০ শতাংশ টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়। মঙ্গলবারের ঢাকা উড়ানেরও অনেক টিকিট ইতিমধ্যে বাতিল হয়ে গিয়েছে।
আচমকা এ ভাবে দিল্লি-মুম্বই-কলকাতা থেকে উড়ান বাতিলের জন্য ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ) থেকে কিংফিশারের কর্তা-ব্যক্তিদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। সংস্থার মুখপাত্র এ দিন বলেন, “মঙ্গলবার দিল্লিতে ডিজিসিএ-এর কর্তাদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক রয়েছে। সেখানে আমাদের পরবর্তী পরিকল্পনার কথা জানানো হবে।” এ দিন দিল্লি থেকে বিমানমন্ত্রী অজিত সিংহও জানিয়েছেন, ডিজিসিএ-কে দেওয়া বিমানসংস্থার এই রিপোর্টের জন্য কেন্দ্রও অপেক্ষা করে রয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা চাই না, হুট করে কোনও বিমানসংস্থা বন্ধ হয়ে যাক। কিন্তু, সরকারের পক্ষ থেকে তাদের কোনও ধরনের আর্থিক সাহায্য করা সম্ভব নয়। নিজেদের রাস্তা তাদের নিজেদেরই খুঁজে নিতে হবে।”
আর্থিক সঙ্কটে উড়ান বাতিলের জন্য বিমানসংস্থা অবশ্য সরাসরি আয়কর বিভাগের দিকে আঙুল তুলেছে। সংস্থার দাবি, সম্প্রতি আয়কর দফতর তাদের সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করে দেওয়ায় তারা কর্মীদের বেতন দিতে পারছে না। প্রতি দিন উড়ান চালানোর যে খরচ, তার ধাক্কাও সামলানো যাচ্ছে না। মুখপাত্র বলেন, “আয়কর দফতরের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান হবে বলে আমরা আশা করছি।” বাজারে এখন সাত হাজার কোটি টাকারও বেশি ধার রয়েছে কিংফিশারের। যে ব্যাঙ্কগুলি থেকে তারা ঋণ নিয়ে থাকে, তাদের কাছে আরও ৩০০ কোটি টাকা ধার চাওয়া হয়েছে। |