শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত হতে চলেছে মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ (এমসিএক্স)। পণ্যের আগাম লেনদেন কিংবা শেয়ার কেনাবেচা, এমসিএক্স-ই হবে দেশের প্রথম নথিভুক্ত এক্সচেঞ্জ। ফলে বাজারে নথিভুক্ত সংস্থা হিসাবে আমেরিকার ন্যাসড্যাক, নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ, শিকাগো মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জ, সিঙ্গাপুর স্টক এক্সচেঞ্জ এবং লন্ডনের ইন্টারকন্টিনেন্টাল এক্সচেঞ্জের সঙ্গে একই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে এমসিএক্স।
ইস্যু খুলবে কাল বুধবার। বন্ধ হবে ২৪ ফেব্রুয়ারি। প্রতিটি শেয়ারের মূল্যবন্ধনী ৮৬২ টাকা থেকে ১০৩২ টাকা। বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায় চূড়ান্ত দাম ঠিক করা হবে। শেয়ার নথিভুক্ত হচ্ছে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে। সংস্থার দাবি, মূল্যায়ন সংস্থা ক্রিসিল এমসিএক্স শেয়ারকে পঞ্চম রেটিং দিয়েছে। যার অর্থ, পণ্য লেনদেনের এক্সচেঞ্জ হিসাবে এমসিএক্সের মৌলিক উপাদানগুলি যথেষ্ট মজবুত। বর্তমানে এমসিএক্সে দৈনিক ৬০ হাজার কোটি টাকার পণ্য কেনাবেচা হয়। কর্তৃপক্ষের দাবি, ২০০৩ সালে কাজ শুরু করে ইতিমধ্যেই দেশে পণ্য লেনদেনের বাজারের ৮৭% তাঁদের দখলে।
এই প্রথম বাজারে সাধারণ লগ্নিকারী-দের জন্য শেয়ার ছাড়া হলেও এমসিএক্স ইস্যুকে ‘ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং’ আখ্যা দেওয়া যাবে না। কারণ, নতুন শেয়ার ছাড়া হচ্ছে না। সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান জিজ্ঞেশ শাহ জানান, বিভিন্ন শেয়ারহোল্ডারের কাছে মোট যত শেয়ার আছে তার ১২.৫% বা মোট ৬৪ লক্ষ শেয়ার বিক্রি করা হবে। মৌলিক উপাদান মজবুত হলেও শেয়ারহোল্ডাররা তাঁদের শেয়ার কেন বিক্রি করছেন? উত্তরে শাহ বলেন, নতুন নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি শেয়ার নিজেদের হাতে ধরে রাখা যাবে না।
এ দিকে পণ্য লেনদেনের বাজারকে আরও চাঙ্গা করতে বেশ কিছু সুপারিশ এনেছে সংসদীয় কমিটি। যার মধ্যে রয়েছে: ব্যাঙ্ক, মিউচুয়াল ফান্ড, বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলিকে এই বাজারে লগ্নির অনুমতি দিতে প্রস্তাব। সূচক ভিত্তিক ডেরিভেটিভ ও আগাম লেনদেনে ‘অপশন’ চালু করার সুপারিশও করা হয়েছে। শাহ বলেন, “এ- গুলির ভিত্তিতে এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে পণ্য লেনদেন সংক্রান্ত ‘ফরোয়ার্ড মার্কেটস অ্যাক্ট’ সংশোধন করা জরুরি।” তাঁর মতে, দেশে পণ্য লেনদেনের বাজার বিশ্বমানের। সংস্কার রূপায়িত হলে বিশ্বে বিভিন্ন পণ্যের দাম ভারতের বাজারকে ভিত্তি করেই নির্ধারিত হতে পারবে। যেমন ধাতুর দাম স্থির হয় লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জের দরের ভিত্তিতে। |