তৃণমূল সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। সোমবার বর্ধমানের আলমপুর গ্রামের এই ঘটনায় জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দু’জন। এ ব্যাপারে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন গ্রামের কয়েক জন বাসিন্দা। সিপিএম অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
হাসপাতালে ভর্তি আবসার মল্লিক ও রয়েল হক মল্লিকের অভিযোগ, “গ্রামে একশো দিনের কাজে পুকুরের মাটি কাটার কাজ চলছিল। আমরা সেখানে কাজ করছিলাম। তখন শ’খানেক সিপিএম সমর্থক আমাদের উপরে চড়াও হয়ে কাজ বন্ধ করার চেষ্টা করে। কোদাল-বেলচা নিয়ে আমাদের মারধর শুরু করে।” গ্রামের বাসিন্দা সাজ্জাদ আলির অভিযোগ, “সিপিএমের হাতে থাকা স্থানীয় বাঘাড় ১ পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ওই প্রকল্পের কাজে টাকা তছরুপের অভিযোগ ওঠে। তাতে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে পঞ্চায়েত গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলে ফের কাজ শুরু করে। কিন্ত চার দিন পরেই হামলা হল।” |
তৃণমূল নেতা দেবনারায়ণ গুহের দাবি, “এক সময়ে পঞ্চায়েত মাত্র তিন দিনে ওই গ্রামে একশো দিনের প্রকল্পে ৩৩ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলে দেখিয়েছিল। কোনও কাজই হয়নি। পঞ্চায়েত ফের প্রতিশ্রুতি দেয়, ওই কাজের হিসেব দেওয়া হবে। তাই ফের কাজ শুরু করানো হয়। আমরা পুলিশকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে বলেছি।”
সিপিএম অবশ্য এই অভিযোগ মানতে চায়নি। দলের জেলা কমিটির সদস্য প্রদীপ তা-র পাল্টা দাবি, “এই ঘটনায় আমাদের কেউ জড়িত নন। ব্রিগেডে আমাদের সমাবেশে যোগ দেওয়ায় ওই প্রকল্পে যাঁরা কাজ করছিলেন, তাঁদের অনেককে তৃণমূল নেতারা বসিয়ে দেন। তাতেই গ্রামের মানুষ চটে গিয়ে তৃণমূলের লোকেদের উপর চড়াও হন। আমাদের কয়েকজনও আহত হয়েছেন।” |