অধ্যক্ষের বদলির নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের জেরে পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে কোচবিহার পলিটেকনিক। মঙ্গলবার ওই আন্দোলনের জেরে প্রথম বর্ষের ভর্তির ফর্ম বিলির কাজ বন্ধ ছিল। কোন ক্লাসও হয়নি। আন্দোলনকারী ছাত্রদের সাফ কথা, পরিবর্ত ছাড়া স্থায়ী অধ্যক্ষকে বদলির নির্দেশ মানা হবে না। দাবিপূরণ না-হওয়া পর্যন্ত তাঁরা অনশন চালিয়ে যাবেন। এদিন কোচবিহার সদরের মহকুমাশাসক সুপর্ণ রায়চৌধুরী অনশনে সামিল ছাত্রদের সঙ্গে দেখা করে আন্দোলন প্রত্যাহারের আর্জি জানান। তাঁকেও ওই সিদ্ধান্তের কথা ছাত্রদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে ২৩ তারিখে ভর্তির ফর্ম বিলির শেষ দিন। এদিন কাজই করা যায়নি। মহকুমাশাসক বলেন, “উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছি।” ছাত্র পরিষদের দখলে থাকা কোচবিহার পলিটেকনিকের ছাত্র সংসদের সম্পাদক কৌশিক সাহা বলেন, “দীর্ঘ কয়েক বছর স্থায়ী অধ্যক্ষ না থাকায় এখানকার উন্নয়ন মার খেয়েছে। বহু আন্দোলনের পর মাত্র চার মাস আগে স্থায়ী অধ্যক্ষ দায়িত্ব নেন। পরিবর্ত ছাড়া তাঁকে বদলি করা হলে উন্নয়ন ব্যাহত হবে। ওই নির্দেশ প্রত্যাহার করা না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাব। অনশনে সামিল ৩০ জনের কেউ অনশনও তুলবেন না বলে মহকুমাশাসককেও জানিয়ে দিয়েছি।” সোমবার থেকে পলিটেকনিকের সামনে রাস্তার ওপর বসে অধ্যক্ষের বদলির নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে নামেন সেখানকার পড়ুয়ারা। ওই দাবির সমর্থনে সংসদের সম্পাদক-সহ ৩০ জন অনশনে বসেন। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মঙ্গলবার রাস্তা থেকে সরে এলেও অনশন ও কলেজের কাজ অচল করে আন্দোলন জারি রেখেছে। অধ্যক্ষ গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সরকারি চাকরিতে বদলি হতেই পারে। আমি চেষ্টা করেও তা ছাত্রদের বোঝাতে পারছি না।” |