দীর্ঘদিন পর বালুরঘাট কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে শক্ত লড়াইয়ের মুখে পড়েছে বাম ছাত্র মোর্চা। এবারের নির্বাচনে টিএমসিপি এবং সিপি জোট বেঁধে বাম ছাত্র মোর্চার বিরুদ্ধে লড়ছে। মঙ্গলবার সিপি এবং টিএমসিপি জোট প্রার্থীরা কলেজের ৫১টি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। জোটের নেতৃত্বে শহরে এক বিরাট মিছিলও বার করা হয়। মিছিলটি কলেজে যায়। তার পরেই জোটের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেন। এসএফআই এবং পিএসইউ জোট বাম ছাত্র মোর্চাও সব আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছে। একটানা দীর্ঘ ২১ বছর ধরে বিরোধী শূন্য সংসদে ক্ষমতায় রয়েছে আরএসপি এবং সিপিএমের ছাত্র সংগঠন দুটি। এবার কলেজের ৫১ টি আসনের মধ্যে টিএমসিপি ৩১ টি এবং সিপি ২০ টি আসনে জোট গড়ে লড়ছে। পাশাপাশি পিএসইউ ৩০টি এবং এসএফআই ২১ টি আসনে লড়াই করছে। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি জেলার পাঁচটি কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হবে। হরিরামপুর কলেজ, বুনিয়াদপুর কলেজ, গঙ্গারামপুর কলেজ, বালুরঘাট গার্লস কলেজের পাশাপাশি বালুরঘাট কলেজেও ভোট হবে। ইতিমধ্যে হুমকি পাল্টা হুমকির অভিযোগকে ঘিরে শহরে উত্তেজনার পারদ বাড়ছে। গত সোমবার বিকেলে কলেজে ছাত্রদের ভুয়ো পরিচয়পত্রকেন ঘিরে গোলমাল হয়। এর আগে গত শনিবার রাতে কলেজ ইউনিটের টিএমসিপির সহ সভাপতি পঙ্কজ মহন্তের বাড়িতে হামলা ও বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পিএসইউয়ের প্রার্থী, দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রকে মারধর করে হস্টেলে আটকে রাখার অভিযোও উঠেছে। তৃণমূল ছাত্রপরিষদের কলেজ ইউনিট সভাপতি গৌতম ঘোষ বলেন, “এতদিন বামেরা ভয় দেখিয়ে আমাদের প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে দিত না। নির্বাচনের নামে প্রহসন হত।” একই ভাবে ছাত্রপরিষদের জেলা সভাপতি সৌরভ প্রসাদ বলেন, “ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। বহিরাগতদের কলেজে ঢোকা বন্ধ হয়েছে। প্রচারে গিয়ে সাড়া পাচ্ছি।” পাল্টা দাবি করা হয়েছে বাম মোর্চার তরফেও। পিএসএউ-র জেলা সম্পাদক সরোজ কুণ্ডু বলেন, “শাসক জোট সর্বত্র কী করছে তা সবাই দেখছেন। আমাদের আশা সংসদ আমাদের হাতে থাকবে।” এসএফআই-র তরফেও একই দাবি করা হয়েছে। |