নিজস্ব পরিকাঠামো দিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণ করা গেল না। বাধ্য হয়ে মশা নিধনে কলকাতা পুরসভার দ্বারস্থ হল বিধানননগর পুরসভা। মঙ্গলবার দিনভর বিধাননগরের প্রান্তের দুই খাল পরিদর্শন করে কলকাতা পুরসভার একটি বিশেষজ্ঞ দল। আজ, বুধবার থেকে মশা নিধনের কাজ করবেন তাঁরা। মশা নিয়ে কলকাতা পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্য অতীন ঘোষ ও রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী (সেচ) শ্যামল মণ্ডলের সঙ্গে পুর-কর্তৃপক্ষ বৈঠক করবেন। ইতিমধ্যে মশা তাড়াতে কেষ্টপুর খাল সংস্কারের জন্য পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কাছে আবেদনও করেছে বিধাননগর পুরসভা। চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, “মশার প্রকোপ প্রচণ্ড। নিয়মিত পুরকর্মীরা কাজ করলেও সমস্যা মিটছে না। তাই কলকাতা পুরসভা ও সেচ দফতরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ জানান, বিধাননগর পুরসভার আবেদনের ভিত্তিতে তাঁদের বিশেষজ্ঞ দল সমীক্ষা করেছে। প্রয়োজনীয় কাজ শুরু হবে।
এ দিকে মশার বাড়াবাড়ি নিয়ে পুরসভাকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে চেয়ারপার্সন কৃষ্ণাদেবীকে তাঁর সরকারি প্যাডে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ তৃণমূলের দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, ১২ নম্বর জলের ট্যাঙ্ক থেকে করুণাময়ী আবাসন এবং ই এম বাইপাস থেকে বনবিতানের রাস্তায় জঞ্জাল জমে থাকছে। যা দ্রুত সাফ করার আর্জিও জানান তিনি। কৃষ্ণাদেবী অবশ্য বলেন, “ময়লা পরিষ্কার করা হবে।” যদিও পুরকর্মীদের একাংশের মতে, বিধাননগরে অনেক জায়গা নগরোন্নয়ন দফতরের আওতায়, সেখানে কারা আবর্জনা সাফ করবেন তা নিয়ে মুশকিল হয়। এ বিষয়ে পুর-কর্তৃপক্ষ পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে পুরসভা সূত্রে খবর। |